ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

বীমায় এজেন্ট কমিশন ১৫ শতাংশের বেশি হলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ২ আগস্ট ২০১৯

বীমায় এজেন্ট কমিশন ১৫ শতাংশের বেশি হলে ব্যবস্থা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সাধারণ বীমা কোম্পানির প্রিমিয়াম সংগ্রহের জন্য বীমা এজেন্টদের ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দিলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন, বিআইএ’র সদস্য ও মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন পাভেল। শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘বীমা আইন ২০১০ অনুযায়ী প্রিমিয়াম সংগ্রহের জন্য বীমা এজেন্টকে ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন বা আর্থিক সুবিধা দেয়ার সুযোগ নেই। অনেক সাধারণ বীমা কোম্পানি প্রিমিয়াম সংগ্রহের ওপর বীমা এজেন্টদের ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দিচ্ছে। যারা আইন অমান্য করে এজেন্টদের ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘কোন সাধারণ বীমা কোম্পানিতে নিরীক্ষার সময় যদি ধরা পরে প্রতিষ্ঠানটি ১৫ শতাংশের বেশি এজেন্ট কমিশন দিয়েছে তাহলে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করা হবে এবং সেইসঙ্গে জরিমানা করা হবে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘বীমা কোম্পানিগুলো বীমা দাবি পরিশোধ করছে না- এ কথা ঠিক না। ২০১৮ সালে বীমা কোম্পানিগুলো আট হাজার কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো নানাবিধ সমস্যার কারণে আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। দেশের মানুষকে ঠিকমতো বীমা সেবা দিতে পারছে না। এ অবস্থায় প্রিমিয়াম সংগ্রহের জন্য কোন বীমা এজেন্টকে ১৫ শতাংশের ওপরে কমিশম দিতে হচ্ছে, যা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। দেশের বীমাখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে তাই কোন এজেন্টরা যেন ১৫ শতাংশের ওপরে আর্থিক সুবিধা নিতে না পারে সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কোন নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কমিশন ভিত্তিতে কর্মচারীও নিয়োগ দেয়া যাবে না। এবং এ ধরনের নিয়োগ থাকলে তা বাতিল করতে হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরী, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জালালুর আজিম, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন পল্ট্র প্রমুখ।
×