ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাঙ্গু নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ২৪ জুলাই ২০১৯

সাঙ্গু নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি ॥ ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ২৩ জুলাই ॥ বান্দরবানের রেইচা-গোয়ালিয়াখোলা এলাকায় সাঙ্গু নদীর ওপর গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে ধীরগতিতে, ব্রিজটি নির্মাণে কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হলে ও নানা অজুহাতে ব্রিজ নির্মাণে নেই তেমন কোন অগ্রগতি, আর এতে ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী। সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান সদরের রেইচা-গোয়ালিয়াখোলা এলাকায় সাঙ্গু নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের বাস্তবায়নে চলছে গার্ডার ব্রিজটির নির্মাণ কাজ। সাধারণ জনগণের দাবির মুখে রেইচা-গোয়ালিয়াখোলা ও চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ইউনিয়নের মধ্যে যোগাযোগের লক্ষে ২০১৬ সালের ১২ মে ব্রিজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। আরও জানা গেছে, এই ব্রিজ নির্মাণ হলে সাঙ্গু নদীর দুপাড়ের প্রায় ৩ হাজার পরিবারের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নসহ কৃষি পণ্য আমদানি-রফতানি এবং বর্ষা মৌসুমে যাতায়াত সহজতর হবে বলে আশা স্থানীয়দের। কার্যাদেশ অনুযায়ী দেড় বছরের মধ্যেই ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হলেও ব্রিজের অর্ধেক কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার, আর এতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে সাঙ্গু নদীর দুপাড়ের বাসিন্দারা। গোয়ালিয়াখোলা এলাকায় বাসিন্দা মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, এই ব্রিজ নির্মাণ হলে আমাদের অনেক কষ্ট কমে যাবে। এখন নৌকা করে এপার ওপার পার হতে হয়। বর্ষাকাল আসলে নৌকা চলে না, আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। সাঙ্গু নদীর ওপর ২শ’ ২০ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজের কার্যাদেশ পায় শেখ হেমায়েত আলী এ্যান্ড ইউটি মং (জেভি) প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন গার্ডার ব্রিজটির বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ১২ কোটি ৬১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। অথচ সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেলেও ঠিকাদারের উদাসীনতায় ব্রিজের অর্ধেক কাজ শেষ না হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি আগামী বছরের মধ্যে এই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হতে পারে। নদীর ঘাটমাঝি মোঃ লোকমান হাকিম বলেন, এই ব্রিজ না হওয়ায় আমরা প্রচুর কষ্ট পাচ্ছি। হবে হবে বলে প্রায় তিন চার বছর শেষ হলো, কখন কাজ শেষ হয় জানি না। শেখ হেমায়েত আলী এ্যান্ড ইউটি মং কনস্ট্রাশনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার আরমান হোসেন বলেন, আমাদের ব্রিজের প্রায় ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, আগামী ২০ সালের শেষ দিকে এই ব্রিজের কাজ শেষ করা যেতে পারে। ব্রিজের কাজে ধীরগতি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতায় সম্প্রতি এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্রিজের কাজ পরিদর্শন করেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এ সময় মন্ত্রী দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে এলাকাবাসীর দুঃখ লাঘবের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু তালেব বলেন, ব্রিজের কাজ চলমান রয়েছে এবং শীঘ্রই সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে এই ব্রিজ জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি কালক্ষেপণ না করে দ্রুত এই ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ করা হোক আর এই ব্রিজ নির্মাণ হলে হলে দু’পারের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিসহ এলাকার আমূল পরিবর্তন ঘটবে, কমবে কয়েকটি গ্রামের দূরত্ব আর ব্রিজকেন্দ্রিক বাড়বে ব্যবসা বাণিজ্য উন্নয়ন হবে যোগাযোগ ব্যবস্থার।
×