ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

প্রকাশিত: ১০:১১, ৩০ জুন ২০১৯

 এরশাদের  শারীরিক অবস্থার  উন্নতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ উন্নতির দিকে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা বিরোধীদলীয় নেতাকে দেখে এবং সিএমএইচের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে এমন আশার কথা জানান এরশাদের স্ত্রী ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ। তিনি সিএমএইচে এরশাদের চিকিৎসায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, শারীরিক অবস্থার উন্নতির এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। তিনি এরশাদের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতার সন্তান রাহ্গীর আল মাহে এরশাদ। এদিকে সকালে জাপা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের জানিয়েছেন এরশাদের শারীরিক অবস্থার ৪০ ভাগের বেশি উন্নতি হয়েছে। সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল ইসলাম মিলন চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্যার (এরশাদ) শারীরিক অবস্থার ৬০ ভাগ উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। বুধবার সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) ক্রিটিকেল কেয়ার সেন্টারে রাখা হয়েছে। জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা যায়, ২৫ জুন মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ অনুভব করেন। এ সময় তার পাশে আপনজন কেউ ছিলেন না। সেবার জন্য নিয়োজিত কয়েকজন ব্যক্তিগত সহকারীসহ গৃহকর্মীরা তার পাশেই ছিলেন। সকালে অবস্থার অবনতি হলে সিএমএইচে নেয়া হয়। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে। এরশাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জানান, স্যার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। হাসপাতালে ভর্তি আছে ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে গত বছরের ২০ নবেম্বর ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সামনে সবশেষ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখেন এরশাদ। এরপর অসুস্থতার কারণে আর কোন কর্মসূচীতে অংশ নেননি তিনি। ৬ ডিসেম্বর গাড়িতে করে অফিসের সামনে এলেও সেখানে বসে কথা বলেই চলে যান। ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ তিন। ভোটের মাত্র ৩ দিন আগে ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরলেও নির্বাচনী ক্যাম্পেনে যোগ দেননি। এমনকি নিজ আসন রংপুরে নিজের ভোটও দিতে যেতে পারেননি সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। ভোটের পর হুইল চেয়ারে গিয়ে শপথ নেন আলাদা সময়ে। ২০ জানুয়ারি ফের সিঙ্গাপুরে যান চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ফেরেন চার ফেব্রুয়ারি। সংসদ অধিবেশনে মাত্র একদিনের জন্য হাজির হয়েছিলেন তাও হুইল চেয়ারে ভর করেই। অনেক দিন ধরেই অনেকটাই জনসম্মুক্ষে আসছেন না সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। হাসপাতাল ও বাসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তার দৈনন্দিন জীবন। কূটনৈতিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতারে যোগ দিয়েছিলেন কয়েক মিনিটের জন্য। জাতীয় ছাত্রসমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে ॥ জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, জ্ঞানসমৃদ্ধ জাতি গঠনে জাতীয় ছাত্রসমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় ছাত্রসমাজই এরশাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে অগ্রণী ভূমিকার রাখবে। বলেন, ছাত্রসমাজকে জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি দেশ ও জাতির স্বার্থে দেশের ইতিবাচক রাজনীতিতেও ভূমিকা রাখতে হবে। শনিবার জাতীয় ছাত্রসমাজের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নাম ঘোষণাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছাত্রসমাজের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মোঃ জামাল উদ্দিন এবং সদস্য সচিব ফয়সাল দিদার দিপুর নাম অনুমোদন করেন। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, আবদুল হামিদ ভাসানী, শামিম আহমেদ রিজভী, মাখন সরকার, সৈয়দ ইফতেখার আহসান হাসান, মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ।
×