ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রী হত্যার মিথ্যা অভিযোগে জেল খাটছে সাঘাটার আপেল মাহমুদ

প্রকাশিত: ১০:০৫, ১৮ জুন ২০১৯

 স্ত্রী হত্যার মিথ্যা অভিযোগে  জেল খাটছে সাঘাটার  আপেল মাহমুদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১৭ জুন ॥ স্ত্রী রেবেকাকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগে ৮ মাস যাবত জেল খাটছে সাঘাটা উপজেলার চাকলি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আপেল মাহমুদ। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এর প্রতিকার দাবি করেন তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম। এদিকে মাকে হারিয়ে এবং পিতা কারাগারে আটক থাকায় আপেল মাহমুদের অসহায় শিশু ছেলেরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কর্মরত আপেল মাহমুদ তার স্ত্রী রেবেকা বেগম পিকচারকে নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের শ্রীপতিপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করত। রেবেকা বেগম ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্বামী আপেল মাহমুদ নিকলী উপজেলায় অবস্থান করছিল। এমতাবস্থায় আশপাশের লোকজন মোঃ সেলিম, শফিকুল ইসলাম, শিউলী বেগম ও তার মেয়ে চায়না বেগম সিএনজিযোগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রেবেকা বেগমকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে ভর্তি করায়। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্ট্রোকে রেবেকার মৃত্যু হয়েছে বলে ছাড়পত্র দেয়। কিন্তু রেবেকা বেগম পিকচারের পিতা বাদী হয়ে এই মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকা- দাবি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে পোস্ট মর্টেমের জন্য পুলিশ রেবেকার লাশ গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে রেবেকাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ এই হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, তার মুক্তির দাবি এবং রিপোর্টের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে। এছাড়া হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে আপেল মাহমুদ ও তার পরিবারের লোকজন নানাভাবে পুলিশী হয়রানির শিকার হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
×