ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাক খাতে প্রণোদনা ২৮২৫ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১০:১১, ১৪ জুন ২০১৯

 পোশাক খাতে প্রণোদনা ২৮২৫ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তৈরি পোশাক খাতের রফতানিতে প্রণোদনা দিতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে আরও দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন তৈরি পোশাকের চারটি খাত ৪ শতাংশ রফতানি প্রণোদনা পাচ্ছে। আমি আগামী অর্থবছর থেকে তৈরি পোশাকের বাকি সব খাতের জন্য এক শতাংশ রফতানি প্রণোদনা প্রস্তাব করছি। এজন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে আরও দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। জানা গেছে, রফতানিতে বর্তমানে ২৬ শ্রেণীতে বিভিন্ন হারে সহায়তা দেয়া হয়। এই হার ২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। যেমন প্রচলিত বাজারের বাইরে নতুন বাজারে রফতানির ক্ষেত্রে দেয়া হয় ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা। আবার আগর, আতর, আলু, হালাল মাংস, বৈচিত্র্যকৃত পাটপণ্য রফতানিতে দেয়া হয় ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা। ২৬ শ্রেণীর বাইরেও মোটরসাইকেল, টুপি, সিরামিকসহ ৯ পণ্যে সহায়তা দেয়া হয় ১০ শতাংশ হারে। জানা যায়, রফতানি ভর্তুকি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনটি ৩০ জুন পর্যন্ত প্রযোজ্য। সেই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রফতানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তার হার ৪ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়া অন্য কোন দেশে রফতানির ক্ষেত্রে এ হার ৪ শতাংশ এবং বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা ৪ শতাংশ। ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রফতানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা আরও ২ শতাংশ। এ ছাড়া গরু-মহিষের নাড়িভুরি, শিং ও রগ রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ, শস্য ও শাকসবজির বীজে ২০ শতাংশ, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বনে ২০ শতাংশ, সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যারে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ভর্তুকি পাওয়া পণ্যের মধ্যে আরও রয়েছে হিমায়িত সফট সেল কাঁকড়া, ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল, গ্যালভানাইজড সিট, হাইড্রোক্লোরিক এ্যাসিড, কস্টিক সোডা, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ইত্যাদি।
×