ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কেসিসির কাউন্সিলররা পাবেন স্থায়ী ঠিকানা

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ৮ জুন ২০১৯

  কেসিসির কাউন্সিলররা  পাবেন স্থায়ী  ঠিকানা

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অনেকের বসার জন্য স্থায়ী কোন ঠিকানা নেই। তাদের নিজস্ব ঠিকানা প্রদানসহ নগরবাসীর সেবার মান আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ‘ওয়ার্ড অফিস কাম কমিউনিটি সেন্টার, আরবান সার্ভিস সেন্টার এবং গেস্ট হাউস নির্মাণ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৩ কোটি ৪৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকল্পটির ডিপিপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কেসিসি সূত্র জানায়, সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নে ‘ওয়ার্ড অফিস কাম কমিউনিটি সেন্টার, আরবান সার্ভিস সেন্টার এবং গেস্ট হাউস নির্মাণ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য হচ্ছে খুলনা মহানগরীর বাসিন্দাদের দ্রুততার সঙ্গে নাগরিক সেবা প্রদান, ওয়ার্ড পর্যায়ে অবকাঠামো সুবিধাদি উন্নয়ন করা। যাতে নগরবাসী ওয়ার্ড অফিস থেকেই জন্ম-মৃত্যু ও নাগরিক সনদসহ অন্যান্য সেবা নিতে পারে। এছাড়া অবকাঠোমো তৈরি করে কেসিসির আয়ের উৎস বৃদ্ধি ও কেসিসির গেস্ট হাউস নির্মাণ করা। ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ কাল ধরা হয়েছে। সূত্র জানায়, ‘ওয়ার্ড অফিস কাম কমিউনিটি সেন্টার, আরবান সার্ভিস সেন্টার এবং গেস্ট হাউস নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় কেসিসির খালিশপুর জোনাল অফিস বর্ধিতকরণ, সোনাডাঙ্গা সোলার পাকের পাশে কেসিসির গেস্ট হাউস নির্মাণ, যে সকল ওয়ার্ডে অফিস ভবন আছে সেগুলোকে চার তলাকরণ, ২, ৩, ৪, ৭, ১৩, ১৫ ও ২২নং ওয়ার্ড অফিসের জন্য কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা। সূত্র জানায়, ৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কেসিসির দুটি বাণিজ্যিক প্লট রয়েছে। ওই প্লটে ১০ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ৯ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ তলা ফাউন্ডেশনে ৬ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ১১, ১২, ২৪ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে শুধু কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ হবে। একাধিক ওয়ার্ড অফিস কাম কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের পরামর্শক ব্যয়, অফিস স্টেশনারি, কম্পিউটার প্রভৃতি খাতে ব্যয় রয়েছে। কেসিসির চিফ প্লানিং অফিসার আবির-উল জব্বার জানান, ‘ওয়ার্ড অফিস কাম কমিউনিটি সেন্টার, আরবান সার্ভিস সেন্টার এবং গেস্ট হাউস নির্মাণ’ প্রকল্পের ডিপিপি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ড অফিস ভবনে সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নিজস্ব কার্যালয় থাকবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নাগরিক সেবার মান উন্নত হবে।
×