ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন নিয়ম ৩১ মে থেকে কার্যকর

মার্কিন ভিসা পেতে দিতে হবে সামাজিক মাধ্যমের তথ্য

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ৩ জুন ২০১৯

 মার্কিন ভিসা পেতে দিতে হবে  সামাজিক মাধ্যমের তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদনকারীদের এখন থেকে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকান্ডের তথ্য জমা দিতে হবে। দ্য হিল প্রথম এ বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপায়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ৩১ মে থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। দ্য ভার্জ ও বিবিসি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার আবেদন করবেন, তাদের ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহৃত এ্যাকাউন্টের তথ্য ও গত পাঁচ বছর ধরে ব্যবহার করছেন এমন ই-মেইল ঠিকানা ও ফোন নম্বরও জমা দিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর এই নিয়ম চালুর প্রস্তাব করার সময় যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ হিসেব করে দেখেছিল, বছরে এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়বে। গত বছর যখন এই নিয়মের প্রস্তাব করা হয় তখন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর হিসেব করে দেখেছিল যে এর ফলে এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। যদিও কূটনীতিবিদ ও সরকারী কর্মকর্তাদের ভিসার ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করতে বা বেড়াতে যেতে চান, তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য দিতে হবে। কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে তাকে অভিবাসন আইনে ‘কঠোর ব্যবস্থার’ মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছে পররাষ্ট্র দফতর। কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার না করেন, তাহলে তা উল্লেখ করার সুযোগ থাকবে ভিসা আবেদন ফরমে। আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় ‘জঙ্গী বা সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রিত’ এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেই কেবল ভিসার আবেদনে বাড়তি তথ্য দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। এক বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সব সময়ই আমাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালের মার্চে ভিসা আবেদনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য দেয়ার এই নতুন নিয়ম প্রস্তাব করে। মানবাধিকার সংস্থা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন সে সময় বলেছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারির এমন নিয়ম যে কার্যকর বা ন্যায্য কিছু হবে- তার কোন নিশ্চয়তা নেই বরং এরকম নিয়ম হলে মানুষ অনলাইনে তাদের কর্মকা-ের ওপর স্বআরোপিত নিয়ন্ত্রণ চালাবে। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসন সীমিত করে আনা। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি কঠোর নজরদারির ওপর জোর দিয়ে আসছেন।
×