ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য ও সহজ শর্তে ঋণ দাবি

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ২৯ মে ২০১৯

গাইবান্ধায় কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য ও সহজ শর্তে ঋণ দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৮ মে ॥ গাইবান্ধায় কৃষকদের সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদান ও উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য জেলার কৃষকদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। জেলার ৩২টি ইউনিয়নের কৃষক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এজন্য কৃষকদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে সরকারী সুযোগ সুবিধা ও ভর্তুকি প্রকৃত কৃষকদের প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, ব্যক্তিগত গ্যারান্টির পরিবর্তে কৃষক সংগঠনের গ্যারান্টিতে প্রয়োজনীয় ঋণ প্রদান, দুধ ও মসলা উৎপাদনসহ সকল ঋণ মৌসুম ভিত্তিক প্রদান, কৃষকদের দ্রুত ব্যাংক ঋণ প্রদানের নিশ্চয়তা বিধান এবং যাদের ঋণ দেয়া হয়েছে তাদের তালিকা ব্যাংকে টাঙ্গিয়ে রাখা। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হান্নান লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, সরকার ব্যাংকগুলোকে মোট ঋণের ২.৫ শতাংশ কৃষি খাতে ঋণ দেয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দিলেও এই ঋণ কৃষকরা পাচ্ছে না। তদুপরি জেলার কৃষকরা বহুদিন ধরে ষাঁড় মোটাতাজাকরণ, দুধ উৎপাদন, সবজি ও ঔষধি গাছ চাষাবাদ করে আসছে। উৎপাদন উপকরণের মূল্যের উর্ধগতি ও উৎপাদনকালীন অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করতে কৃষকরা হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে এনজিও থেকে ঋণ পাওয়া গেলেও তা কৃষকদের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না কারণ রাত পোহালেই তাদের ঋণের কিস্তি দিতে হয়। আবার সরকারী-বেসরকারী ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ পেতে গেলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর সীমাহীন গ্যারান্টি চাওয়া যেমন জমির দলিল, হালনাগাদ পর্চা, কোন সরকারী কর্মচারী বা কর্মকর্তার গ্যারান্টি। এছাড়াও কৃষি ঋণ নিতে গিয়ে কৃষকদের নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। শুধু তাই নয়, ব্যাংকগুলো সরকারী কর্মচারী বা কর্মকর্তার ব্যাংক এ্যাকাউন্টের ফাঁকা স্বাক্ষরিত চেক দাবি করেন যা কোনভাবেই কৃষকদের পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাই কৃষকরা সহজলভ্য ও বহনযোগ্য ঋণ না পাওয়ায় তাদের জীবন জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে। এতে তারা অন্য পেশাকে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ফজলুর রহমান, আকরামুল হক, তাহেরা বেগম, গোলাম রব্বানী, জাবেদ আলী, উজ্জল মিয়া, রেজাউল করিম, হায়দার আলী, বেলাল মিয়া, মঞ্জু মিয়া ও খাইরুল ইসলাম।
×