ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:০৮, ৩ মে ২০১৯

  উবাচ

খোলাসা করুন স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক সঙ্গে নির্বাচন করার সময় মান্না ফখরুলরা জানিয়েছিলেন এক সঙ্গেই চলবেন। এই কিছু দিন আগেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন বিএনপি যৌথ নেতৃত্বে চলছে। কিন্তু আকস্মিক কি হলো বিএনপির নির্বাচিতদের মধ্যে এক জন ছাড়া আর সবাই শপথ পড়লেন কিন্তু শরিকদের জানানোর প্রয়োজনও মনে করলেন না। দেশের মানুষ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখল ঐক্য ফ্রন্টের মধ্যে কি ঐক্য কি মহব্বত। সম্প্রতি বিএনপির নির্বাচিত চারজনের শপথ গ্রহণের পেছনে কোন সমঝোতা আছে কি না, তা খোলাসা করার আহ্বান জানিয়েছেন জোটের আরেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিতিতে মান্না বলেন, যদি সমঝোতা হয় তা হলে সেই সমঝোতাটা খোলাখুলি বলেন, কী সমঝোতা হয়েছে? তার প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, বিএনপি সমঝোতা করলে অনেক আগেই সমঝোতা করতে পারত। বেগম খালেদা জিয়া যদি সমঝোতা করতেন তাহলে উনি প্রধানমন্ত্রী থাকতেন, অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না এই কথাগুলো আপনাদের মনে রাখতে হবে। ভয় আছে দায় নেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল কেন শপথ নিলেন না তার কোন যৌক্তিক কারণ কেউ খুঁজে বের করতে পারেননি। তার দল এমনকি জোটের সবাই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও তিনিই একমাত্র ব্যতিক্রম। শপথ নিতে নিজে না গিয়েও অন্যদের পাঠিয়েছেন। শপথ নেয়ার পর সব দায় তারেক রহমানের কাঁধেই চাপানো হয়েছে। বলা হচ্ছে তারেক রহমানের নির্দেশেই শপথ আর ফখরুলের সংসদে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্তও দিয়েছেন তারেক রহমান। আসলেই কি ঘটনা তাই? বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় কিছু দিন আগে বলেছিলেন সংসদের আশপাশে দিয়ে ঘুরলেও খবর আছে। তাহলে কি মহাসচিব সেই হুঙ্কারে ভয় পেলেন। গয়েশ^র চন্দ্র যদি রেগে যান। সেই ভয়েই কি তিনি শেষ পর্যন্ত আর গেলেন না। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ মির্জা ফখরুলের ভয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। হানিফ বলেন, দুটি কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিচ্ছেন না। এর একটি হচ্ছে যেই দলে কোন গণতন্ত্র নেই, লন্ডন থেকে পরিচালিত হয়, সেই দলের বিরুদ্ধে গিয়ে শপথ নিলে পদ হারাবেন। মূলত পদ হারানোর ভয়েই মির্জা ফখরুল ইসলাম শপথ নেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আরেকটি কারণ হলো, বগুড়া থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উনার নিজ এলাকার ভোটারদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকলেও বগুড়ার ভোটার, এমনকি জনগণের প্রতি উনার কোন দায়বদ্ধতা নেই। তাই তিনি শপথ নিচ্ছেন না। তারেকের নির্দেশ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনেক কষ্টে বিএনপির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থে মনোনয়ন কিনে এর পর নির্বাচনে গাদা গাদা অর্থ ঢেলে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু নতুন ফ্যাকড়া শপথ নেয়া যাবে না। বিএনপির শীর্ষ নেতারা রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন। সংসদে যাওয়া যাবে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা। যখন দলের সকলে সংসদের দিকে তখন মান রক্ষায় বলা হলো তারেক রহমানের নির্দেশেই শপথ। কিন্তু তারেক রহমান কি নির্দেশ দিলেই নির্বাচিতরা শপথ নিতেন না। এর আগেও গণফোরামের দু’জন শপথ নিয়েছেন। সেখানে একই জোটের এই দলটি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন তা সকলেই জানেন। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে যতটা দলের প্রয়োজন হয় একবার সংসদে যাওয়ার টিকেট পেয়ে গেলে আর দল কোন কাজে আসে না’ অন্তত এবার তার প্রমাণ মিলেছে। এত দিন বিএনপি ভোট চুরি, নির্বাচন অবৈধ, নানাভাবে নানা ঢংয়ে এই প্রচারণা চালিয়ে এসেছে। কিন্তু এবার যখন তাদের শপথ নেয়ার জন্য উতলাভাব সাধারণ মানুষ দেখছে তখন এই দলের বিশ^াসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সকালে যারা বলেন আমরা সিদ্ধান্তে অটল। আমরা সংসদে যাব না। বিকেলে সেখানে কিভাবে তারা সংসদে পাঠান। অনেকেইতো বলছেন, দোষ একা কী শুধু এইচ এম এরশাদের।
×