ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

তুরাগের দুই তীরে চূড়ান্ত উচ্ছেদ অভিযান আজ থেকে

প্রকাশিত: ১১:২২, ৯ এপ্রিল ২০১৯

তুরাগের দুই তীরে চূড়ান্ত উচ্ছেদ অভিযান আজ থেকে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ থেকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তুরাগ নদের দু’পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চূড়ান্ত পর্যায়ের অভিযান শুরু হচ্ছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে বৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিরোধ হওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ইতোপূর্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে তুরাগ তীরের কিছু বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হওয়ার অভিযোগটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, চলতি বছরের মার্চে দুই দফায় তুরাগ নদের দু’পাড়ের প্রায় সাড়ে তিনশ’ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ওই সময় স্থানীয়দের মধ্যে বেশ কয়েকজন অবৈধ স্থাপনার সঙ্গে বৈধ স্থাপনা ভাঙ্গা পড়েছে বলে দাবি ওঠে। এর মধ্যে ঢাকার দারুস সালাম থানাধীন ছোট দিয়াবাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ শওকতের দাবি, অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গার সময় তার ব্যক্তি মালিকানাধীন ৩০ শতাংশ জমির ওপর থাকা স্থাপনা ভাঙ্গা পড়েছে। ছোট দিয়াবাড়ির আরেক বাসিন্দা সেলিমের দাবি, তারই ২০ শতাংশ জমির ওপর থাকা বৈধ স্থাপনা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে ভাঙ্গা পড়েছে। তারা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে তারা সরকার বা বিআইডব্লিউটিএ-এর তরফ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। স্থানীয় মধু মেম্বারও এমনটাই দাবি করে বলেছেন, তাদের বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া একাধিক বহুতল বাড়ি ভাঙ্গা পড়েনি। আবার নদীর ভেতরেও বহুতল বাড়ি আছে, যেগুলো ভাঙ্গা হয়নি। এছাড়া অভিযানকালে নদটির পশ্চিম দিকে সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের করা একটি সরকারী পাঁকা রাস্তার কিছু অংশ ভাঙ্গা হয়েছে। আর অভিযানের সময় স্থানীয় মেম্বার আবু তালেবের ঘেরের ২৫ লাখ টাকার মাছ ছেড়ে দেয়ার ঘটনা অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ-এর যুগ্ম পরিচালক ও ঢাকা নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রক একেএম আরিফ উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, তুরাগ নদের দু’পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে আবার অভিযান শুরু হচ্ছে।
×