ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছাদ ধসে শিক্ষার্থী নিহত

ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না জানতে হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ৮ এপ্রিল ২০১৯

 ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া  হবে না জানতে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরগুনার তালতলীর পি কে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে হতাহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে ফরিদপুরের সদরপুরের ১২ মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। এদিকে রূপালী ব্যাংকের পনেরো কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-প্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ধরতে পুলিশের আইজি, র‌্যাবের ডিজি, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার ও সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশনাসহ প্রয়োজনে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারির নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তাকেও তলব করেছে । এই বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে হাইকোর্টকে জানাতে বলেছে। বরগুনার তালতলীর পি কে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে হতাহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বরগুনার জেলা প্রশাসক, বরগুনার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, তালতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার বিকেলে হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেয়। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. মাইনুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মোঃ ইশতিয়াক আহমেদ। পলাতক আসামিকে ধরতে রেড এলার্ট জারির নির্দেশ ॥ রূপালী ব্যাংকের পনেরো কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-প্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ধরতে পুলিশের আইজি, র‌্যাবের ডিজি, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার ও সকল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশনাসহ প্রয়োজনে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারির নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। এই বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে হাইকোর্টকে জানাতে বলেছে। যাবাজ্জীবন সশ্রম কারাদ-প্রাপ্ত পলাতক আসামি হলেন এভারেস্ট হোল্ডিং এ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু বোরহান চৌধুরী। আজ ৭ এপ্রিল রবিবার বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। একই সঙ্গে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছে হাইকোর্ট। ওই মামলায় দুই ব্যবসায়ীর কারাদ- হয়েছিল। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল এভারেস্ট হোল্ডিং এ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু বোরহান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম বাহাউদ্দীনকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক উপ-পরিচালক, বর্তমানে পরিদর্শক মোঃ আবদুল কুদ্দুস খানকে খালাস দেয়। সাজাপ্রাপ্ত বাহাউদ্দীন পরবর্তীতে হাইকোর্টে আপীল করে জামিন আবেদন করেন। আপীলের পর অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এস এম আতিকুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী ও সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার মোঃ আবদুস সামাদ সরকারকে ২৯ জানুয়ারি তলব করে রুল জারি করে হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী রবিবার হাইকোর্টে হাজির হন ওই তিন কর্মকর্তা। পরবর্তী শুনানির দিন ওই তিন কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে উপস্থিত থাকতে হবে। তিন কর্মকর্তা হলেন- রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এস এম আতিকুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী ও সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার মোঃ আবদুস সামাদ সরকার। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিক্রি করা জমি ও ফ্ল্যাট অবিক্রিত দেখিয়ে ঋণ তুলে ১৫ কোটি টাকা গ্রাহকের নামে বিতরণ করে আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ৫ জনকে আসামি করে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক। ওই মামলায় ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে এভারেস্ট হোল্ডিং এ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু বোরহান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম বাহাউদ্দীন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক উপ-পরিচালক বর্তমানে পরিদর্শক মোঃ আবদুল কুদ্দুস খানকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
×