ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুরান ঢাকার জন্য রি-ডেভেলপমেন্ট পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে ॥ পূর্তমন্ত্রী

ঢাকায় অনুমোদনহীন ঝুঁকিপূর্ণ কোন উর্ধমুখী ভবন রাখা হবে না

প্রকাশিত: ১০:৩২, ৭ এপ্রিল ২০১৯

 ঢাকায় অনুমোদনহীন ঝুঁকিপূর্ণ কোন উর্ধমুখী ভবন রাখা হবে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে অনুমোদনহীন ঝুঁকিপূর্ণ কোন উর্ধমুখী ভবন রাখা হবে না। যত চাপই আসুক কোনভাবেই বিল্ডিং কোডের বাইরে ভবন হতে দেব না বলে ঘোষণা দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ভবন নির্মাণে অনুমোদিত নক্সার বাইরে মালিকের নিজস্ব প্ল্যান বাস্তবায়ন করে ভবন নির্মাণ কোনক্রমেই সহ্য করা হবে না। পূর্তমন্ত্রী রেজাউল করিম আরও বলেছেন, পুরান ঢাকার জন্য আমরা রিডেভেলপমেন্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এছাড়া শুধু ভবন মালিক নন অবৈধ ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত কোন রাজউকের ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে রাজউক বোর্ডের সদস্য জড়িত থাকলে তাকেও কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মন্ত্রী। শনিবার ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) ‘ইমারত নির্মাণে সরকারের দায়িত্ব ও নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক ‘মিট দ্য প্রেস’ আয়োজন করে। এতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন। সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডুরা সভাপতি মশিউর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রুবেল। এ সময় সংগঠনের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পদক শাজাহান সাজু, কোষাধ্যক্ষ রুহুল আমিনসহ মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, নতুন ট্র্যাডিশন চালু হয়েছে। ভবন নির্মাণে একটি এ্যাপ্রুভড প্ল্যান, অপরটি ওয়ার্কিং প্ল্যান রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আর টলারেট করতে চাই না। ভবন নির্মাণে যে দীর্ঘদিনের জঞ্জাল জমা হয়েছে, তা দূর করতে চাই। অবৈধ ভবন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে আইনী সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের তিন হাজারের বেশি আদেশ রয়েছে। এর প্রধান কারণ গণনোটিস। কোন একটি ভবনের নির্দিষ্ট ত্রুটির কথা উল্লেখ না করে পুরো ভবনের বিরুদ্ধে একটি গণনোটিস দেয়া হতো। ফলে ভবন মালিক আদালতে গিয়ে নোটিসটি স্থগিতের ব্যবস্থা করে নেন। তাই আমি বলেছি, সুনির্দিষ্ট ইস্যু উল্লেখ না করে নোটিস দেয়া যাবে না। এর পরও যদি রাজউকের কোন কর্মকর্তা এমন কাজ করেন, তাহলে ধরে নেব- তিনি ভবন মালিককে পার পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এর দায় ওই কর্মকর্তাকে নিতে হবে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেননা, বর্তমানের উদ্ভূত পরিস্থিতি একদিনে সৃষ্টি হয়নি। মন্ত্রী বলেন, অনুমোদনহীন উর্ধমুখী ভবনগুলো সরিয়ে নিতে হবে, অন্যথায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুমোদনহীন ভবনকে কোনক্রমেই বৈধতা দেয়া হবে না, ভেঙ্গে ফেলা হবে। বহুতল ভবনের অবস্থা দেখার পর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ভবনও পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে। এসব বাস্তবায়নে কোন চাপের কাছে বাধাগ্রস্ত হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, তাই ঘটনা কী সেটাই মুখ্য। ব্যক্তি কে সেটা মুখ্য নয়। যত চাপই আসুক কোনক্রমেই বিল্ডিং কোডের বাইরে ভবন হতে দেব না। মালিক কে তা দেখার বিষয় নয়, আইন মোতাবেক হচ্ছে কি না সেটাই দেখার বিষয়। ইতোমধ্যে বুড়িগঙ্গা দখল করে বানানো কয়েক প্রভাবশালীর ভবন ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা দায়ী হবেন। তাই নিজ নিজ এলাকার যত ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে সেসব বিষয়ের প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট করতে হবে। একটা ভবন নির্মাণের পর বলবেন, এটাতে সমস্যা রয়েছে, তা চলবে না। প্রতিসপ্তাহের অগ্রগতি বিষয়ে রিপোর্ট করতে হবে। আমরা অঙ্কুরেই আঘাত হানতে চাই। ঢাকার বহুতল ভবনগুলোর অবস্থা জানতে চব্বিশটি পরিদর্শক দল গঠন করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব দলের সব রিপোর্ট নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করব। এসব ভবনে যা যা ত্রুটি পাওয়া যাবে তা সমাধান করতে মালিককে নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে ঠিক না করতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফায়ার ‘সার্ভিস ছয়তলার উপরে বহুতল বলছে আর রাজউক ১০ তলার উপরে বহুতল বলছে’ এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের আলাদা কাজ রয়েছে। কোন্টি বহুতল ভবন সেটি নির্ধারণ করা ফায়ার সার্ভিসের কাজ নয়। টানা অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নাশকতা দেখছেন কিনা জানতে চাইলে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ঘরানার নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আগুন জ্বলেছে, আগুন জ্বলছে ও আগুন জ্বলবে। আরও কয়েকজন আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এখন এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে, নাকি এর পেছনে অন্য কারণও আছে। একই সঙ্গে নতুন বিল্ডিং কোড আইন আগামী এক/দুই সপ্তাহের মধ্যেই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ’১৭ সালের শেষদিকে আইনটি ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের আপত্তি ও আন্দোলনের মুখে একটা সমস্যা তৈরি হয়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে আমরা বিষয়টি সমাধান করব। ১২ এপ্রিলের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভেঙ্গে ফেলতে আদালতের নির্দেশ রয়েছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, কোন কিছুই অসম্ভব নয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হবে। এর মধ্যে তারা ব্যবস্থা না নিলে ভেঙ্গে ফেলা হবে। অগ্নিকা-ের পর নেয়া নানা পদক্ষেপ এক সময় স্থবির হয়ে পড়বে কিনা, প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। প্রতি মাসে ব্রিফিং করে এর অগ্রগতি জানাব। পরিবেশসম্মত, আধুনিক ও ঝুঁকিমুক্ত আবাসন নিশ্চিতই আমাদের অঙ্গীকার। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার কেউ কোনভাবে খর্ব করুক এটা শেখ হাসিনা সরকার কোনভাবেই চায় না। ঢাকা শহরকে বাসোপযোগী, ঝুঁকিমুক্ত, আধুনিক একটি নগরে পরিণত করার জন্য যেখানে যা যা করা দরকার আমরা সে পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। ঢাকা মহানগরীকে আমরা মৃত্যুকূপে পরিণত হতে দিতে পারি না। কিছু অর্থলিপ্সু মানুষের লোভের কারণে মানুষের জীবন চলে যাবে, তাদের পরিবার অসহায় হয়ে পড়বে, এত বড় ক্ষতি আমরা হতে দিতে পারি না। মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য প্লট, ফ্ল্যাটসহ বিভিন্নভাবে আবাসন নিশ্চিতের জন্য আমরা কাজ করছি। কিন্তু নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত, পরিবেশসম্মত আবাসন আমরা এখনও গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের নতুন শহর ঝিলমিল, পূর্বাচল, উত্তরা তৃতীয় ফেজ, সেখানে আমরা ৪৫ভাগ জায়গা ফাঁকা রেখেছি, যেন দুটি বাড়ির মাঝে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা থাকে, সেখানে যেন পরিবেশ দূষণ না হয়, খেলার মাঠ রেখেছি, পার্ক রেখেছি, লেক খনন করছি, বাজার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থা ও চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রেজাউল করিম বলেন, পুরান ঢাকার অপরিকল্পিত ভবন রাতারাতি ভেঙ্গে নতুন কিছু করা সম্ভব হয়নি। আমরা সেখানে রিডেভেলপমেন্টের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা পুরান বিল্ডিং ভেঙ্গে মানসম্মত, পরিবেশসম্মত, বিল্ডিং কোড মেনে নতুন বিল্ডিং করে দেব। যাতে পুরান ঢাকায় জীবন ঝুঁকিপূর্ণ না থাকে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা শহর অনেক পুরনো শহর। এ শহরে কিছু ভবন রয়েছে, যা অনেক আগে হয়েছে। এগুলো রাতারাতি ভেঙ্গে নতুন করে করা সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। সেটা হচ্ছে পুরান ঢাকাকে রিডেভেলপমেন্ট করা। এর অর্থ হচ্ছে পুরান ঢাকার পাঁচ কাঠা জায়গার ওপর কোথাও কোথাও তিনটা ভবন আছে, সেগুলোয় ইটের ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু সিমেন্ট, রডের ব্যবহার কম। মন্ত্রী বলেন, আমি পুরান ঢাকাবাসীকে প্রস্তাব দেব, তাদের পুরান ভবন ভেঙ্গে আমরা মানসম্মত, পরিবেশসম্মত, বিল্ডিং কোডসম্মত ইমারত নির্মাণ করে দেব। তিন মালিক অনুপাত অনুযায়ী যে কয়টা ফ্ল্যাট পেতে পারেন, আমরা তা দিয়ে দেব। যাতে পুরান ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন না থাকে। এ ধরনের প্রস্তাব আগেও দেয়া হয়েছিল। তখন হয়নি, এবার তা কতটা সম্ভব? আর পুরান ঢাকাবাসী যদি এটা গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে কী হবে? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমার যতটুকু বিশ্বাস, আমরা যদি সক্ষম হই, আপনার সন্তান, আপনার জীবন, আপনার পরিবার বিপন্ন হয়ে গেলে আপনার রক্ষণশীলতার মায়া নিয়ে কী হবে? ‘আমার পুরান ঢাকার বাড়ি আমি ছাড়ব না’ এ মায়ার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনাদের জীবন। পূর্তমন্ত্রী বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় তিন শ্রেণীর মানুষ জড়িত। লোভী মালিক, লোভী ডেভেলপার আর এই ডেভেলপমেন্ট কাজ দেখভালের যাদের দায়িত্ব ছিল অর্থাৎ রাজউকের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, পরিদর্শক, অথরাইজড অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা। আরেকটি বিষয় ছিল অপরাধের চিহ্ন পাওয়ার পরও ব্যবস্থা না নেয়া। ২০০৭ সালে এফ আর টাওয়ারের অবৈধ অংশের রিপোর্ট আসার পরও রাজউক চেয়ারম্যানসহ অন্যরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সেটা তারা কেন করেননি অথবা পরবর্তী সময়ে কেন এ বিষয়টি কারও দৃষ্টিতে এলো না, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য আমরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। ইমারত নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত শুধু তারা নয়, এ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের দায়িত্ব রাজউকের যাদের ছিল তাদেরকেও সমান দায় নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এ জাতীয় ঘটনায় অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি, এফআর টাওয়ারের ঘটনায় আমরা মামলা করেছি। একাধিক আসামি গ্রেফতারও হয়েছে। আইনের শাসনের আওতায় অবহেলাকারীদের আনার এটি বাংলাদেশে প্রথম দৃষ্টান্ত। মন্ত্রী বলেন, যে ভবনে শুধু অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই, তাদের নির্ধারিত সময় দিয়ে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সম্পৃক্ত করতে বলা হবে। যে বিল্ডিংয়ে জরুরী বহিগর্মন পথ নেই তাদের নির্ধারিত সময়ে তা করতে হবে। যে ভবনে গ্যারেজের জায়গায় স্থাপনা করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাদের তা সরিয়ে ফেলতে হবে, যদি না করেন আমরা ব্যবস্থা নেব। যারা অনুমোদন ছাড়া উর্ধমুখী ইমারত নির্মাণ করেছেন, তাদেরকে তা সরিয়ে নিতে হবে। মন্ত্রী বলেন,মানসম্মত ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনসহ সবার অংশগ্রহণ করা দরকার। রাজউককে দেখতে হবে অনুমোদিত নক্সার বাইরে কোন বিল্ডিং নির্মিত হয়েছে কিনা, তার কোন ব্যত্যয় ঘটল কিনা? দীর্ঘদিনের জঞ্জাল দূর করতে ব্যবহারকারীদের মন্ত্রী বলেন, আপনাদের দেখতে হবে ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে কিনা, বিল্ডিং থেকে দ্রুত নেমে যাওয়ার সিঁড়ি আছে কিনা, বিল্ডিংয়ে পরিকল্পনার বাইরে কোন অংশ আছে কিনা, নিচে গাড়ির গ্যারেজ আছে কিনা। শেখ হাসিনা চান, কোন অপরাধী যেন নিস্তার না পায়। বিল্ডিং মালিক যেই হোন না কেন সেটা আমাদের কাছে মুখ্য নয়। আইনসঙ্গতভাবে হয়েছে কি, হয়নি সেটাই আমরা দেখতে চাই।
×