ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জন্মশতবার্ষিকীর আগেই বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ১ এপ্রিল ২০১৯

  জন্মশতবার্ষিকীর আগেই বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আগেই সরকার বঙ্গবন্ধু পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে। রবিবার আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাইমা হক, আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস্ অব ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ (খন্ড ১ ও খন্ড২) বইটি বিতরণ করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনায় সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে ন্যায় এবং জনগণের মঙ্গল প্রতিষ্ঠায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ করা ও বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনসমূহ গত ১৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সারা বছর ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে দূতাবাসসমূহকে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে এ ধরনের কর্মসূচী পালন করা হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুকে জানলে দেশকে জানা হবে, দেশের ইতিহাসকে জানা যাবে। ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত দশ বছরে দেশে যে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে, সেগুলো বিশ্বকে জানাতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশে-বিদেশে দু’বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বিষয় জনগণকে জানানো হবে। এর মাধ্যমে জনগণকে জানানো যাবে আমরা কি অবস্থা থেকে বর্তমান অবস্থায় এসেছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে একদিনের হুকুমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি। দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই সৃষ্টির নায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অনেক রাজা-বাদশা এসেছেন, কিন্তু কেউ এদেশের স্বাধীনতা আনতে পারেননি; স্বাধীনতা এনেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর বড় কীর্তি হচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশ যতদিন টিকে থাকবে, বঙ্গবন্ধু ততদিন টিকে থাকবেন। তিনি সারাজীবন ন্যায়, নির্যাতিত ও শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন।
×