ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্কে স্থানীয় নির্বাচন

এরদোগানের দল কঠিন পরীক্ষায়

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ১ এপ্রিল ২০১৯

এরদোগানের দল কঠিন পরীক্ষায়

তুরস্কে রবিবার স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান এটিকে ‘তুুরস্কের টিকে’ থাকার নির্বাচন বলে অভিহিত করেছেন। কারণ স্থানীয় এ নির্বাচনে তার দলের পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক ধীরগতির কারণে রাজধানীতেই তারা পরাজয়ের মুখোমুখি হতে পারেন। ২০০২ সালে এরদোগান ও তার দল জাস্টিস এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) ক্ষমতায় আসার পর প্রতিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা এবার বলছেন, আঙ্কারা এমনকি ইস্তান্বুলেও দলটি পরাজিত হতে পারে। ২০১৭ সালে সাংবিধানিক সংস্কারের পর এই প্রথম দেশটিতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সংস্কারের ফলে এরদোগান আরও ক্ষমতাবান হন। তুরস্কের ইতিহাসে ভোটের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন এরদোগান। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক মন্দা, বেকার সমস্যা বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কে পৌঁছায় তার অবস্থান এখন অনেকটাই নাজুক। একেপির অর্থনৈতিক সক্ষমতার অনেকই এখন নিম্নমুখী। কিন্তু ভোটের কয়েক দিন আগে থেকে তুরস্কের মুদ্রা লিরা’র দরপতন হচ্ছে। এটি ২০১৮ সালে দেশটির মুদ্রার পতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, যেটা তুরস্কের জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। ইস্তান্বুলের সাবেক মেয়র এরদোগান নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালিয়ে আসছেন, যদিও তিনি নির্বাচন করছেন না। কারণ তিনি তার দুর্বল দিক সম্পর্কে সচেতন। শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত তিনি ইস্তান্বুলের বিভিন্ন জেলায় কয়েকটি সমাবেশ করেছেন। এই নির্বাচনে ভোটাররা মেয়র, পৌর কাউন্সিলর ও অন্য কর্মকর্তাদের নির্বাচিত করবেন। পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে গ্রিনিচমান সময় চারটায় এবং দেশের অন্য এলাকায় পাঁচটায় এই ভোট শুরু হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মেরসিনে বিরোধী দলের এক সমাবেশ থেকে দারভিস দিকমেন (৬০) এএফপিকে বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে জনগণ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। তারা কিছুই কিনতে পারছে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। আমি ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি, কিন্তু এমন দুরবস্থা আমি কখনও দেখিনি। গত দেড় দশক ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং তার দল একেপি। সমর্থকদের কাছে এরদোগান এখনও সমান জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী নেতা। কিন্তু মানবাধিকার কর্মী এবং তুরস্কের পশ্চিমা মিত্ররা বলছেন, এরদোগানের নেতৃত্বে সরকার ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্রের ভিত নষ্ট করেছে। কারণ ২০১৬ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০২ সালের পর এই প্রথম একেপি তার মিত্র ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টির সঙ্গে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রধান বিরোধী দল কুর্দীপন্থী পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ অভিহিত করে কয়েকটি শহরে প্রার্থী দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদের অনেক নেতাকে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের অভিযোগে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। -এএফপি
×