ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:১৩, ২৯ মার্চ ২০১৯

 উবাচ

তেলে জল স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে তেল আর জলের সংমিশ্রণ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তথ্যমন্ত্রীর এই তথ্যের সত্যতা মিলবে গত নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে। পরাজয় তাও আবার এতটা, ভাবাই কঠিন। নানা পথ আর মতের মানুষ এক সঙ্গে পথচলা কঠিন। অবিশ্বাস, সন্দেহ আর বিভেদ ভুলে এক হওয়া কঠিন। সেই কঠিনকেই ভালবাসতে চেয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এখন মাঝে মাঝেই ঐক্যফ্রন্ট নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সরকার তাদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে চেষ্টা করছে। এটা এক ধরনের সন্দেহ ছাড়া আর কিছু কী? যারা এককভাবে যা আসন পায় ঐক্যফ্রন্ট করে তার চেয়ে কম আসন পেল তাদের ঐক্য থাকলেই বা কি না থাকলেই বা কি? তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলছেন, এই জোট ভাঙ্গার জন্য বাইরে থেকে কোন চেষ্টার দরকার পড়বে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর আগে বলেছেন সরকার নাকি বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। হাছান মাহমুদ বলেছেন ঐক্যফ্রন্টকে তো ভাঙ্গার কোন প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, তেল আর পানির মিশ্রণ ঘটালে যে রকম হয়, ঐক্যফ্রন্ট হচ্ছে সে রকম একটি মিশ্রণ। তেল আর পানি যেমন কখনও মেশানো যায় না, ঐক্যফ্রন্টে চরম ডানপন্থী, বামপন্থী, মধ্যপন্থী বিভিন্নপন্থীদের যে সংমিশ্রণ ঘটেছে সেটি হচ্ছে তেল আর পানির মিশ্রণের মতো। ব্যর্থ? স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাইকে সম্পত্তির মতো দলকে উইল করে দিয়েছিলেন এইচ এম এরশাদ। আর আগে সকালের কথা বিকেলে উল্টাতেন এরশাদ। কিন্তু এবার সবাই ভাবল লিখিত উইলের কপি দিয়েছে। এই উইল ঠিক থাকবে। আর বুঝি বদলাবে না। কিন্তু সিঙ্গাপুর থেকে স্ত্রীর জন্মদিনে গান গাইবার মতো সুস্থ হয়ে আসলেন এরশাদ। স্ত্রী রওশনের জন্মদিনে গান গেয়ে শোনানোর দুই দিনের মাথায় আবার এক বিজ্ঞপ্তি এলো পত্রিকা অফিসে। এতে ঘোষণা এলো জি এম কাদের ব্যর্থ। তাকে সরিয়ে দিলাম। এরশাদের সেই বিজ্ঞপ্তির কথাগুলো ছিল এমন, আমি ইতোপূর্বে ঘোষণা দিয়েছিলাম, আমার অবর্তমানে পার্টির কো চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের পার্টি পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন এবং এটাও আশা করেছিলাম যে, পার্টির পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিল তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। কিন্তু পার্টির সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় আমার ইতোপূর্বেকার সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিলাম। যেহেতু জনাব কাদের পার্টি পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন, পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে এবং তিনি পার্টির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দও তার নেতৃত্বে সংগঠন করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। সুতরাং কাদের বাদ। ভুয়া! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাবা স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী, ছেলে মুক্তিযোদ্ধা। এ রকমটা হলে সেই ছেলেকে তো পুরস্কৃত করা উচিত। কিন্তু ছেলে কী আসলেই মুক্তিযুদ্ধ করেছে। করলে কারা তার সহযোদ্ধা ছিলেন। কোথায় কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। কখন কোন বছর এসে সনদ নিয়েছেন সেসব তলিয়ে দেখা উচিত। পারিবারিকভাবে যদি মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করা না হয় তাহলে সেই ছেলের মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আবার নিজে মন্ত্রী থাকার সময় যদি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম তোলেন কেউ তাকে মানুষ কি বলবে। মির্জা ফখরুলের মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। তার বাবা ছিলেন রাজাকার। তিনি এজন্য জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান এসব স্বাধীনতা বিরোধীদের এনে রাজনীতিতে জায়গা করে দেন। এ সময় মির্জা ফখরুলের বাবা রুহুল আমিন বিএনপিতে যোগ দেন। পরে তিনি জাতীয় পার্টিও করেছেন। কিছু দিন। এই বাবার ছেলে কি করে মুক্তিযোদ্ধা হয়! আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ অভিযোগ করেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর বাবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ছিলেন।
×