ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংকের ১৪শ’ কোটি টাকা অনুদান

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ১০ মার্চ ২০১৯

 রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংকের ১৪শ’ কোটি টাকা অনুদান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের অনুদান অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৪শ’ কোটি টাকা। অনুমোদন দেয়া অর্থ ব্যয় হবে ‘ইমারজেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ শীর্ষক একটি প্রকল্পে। যেখানে মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ, কমিউনিটির উন্নয়ন এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধে সহায়ক হবে। ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় রোহিঙ্গাদের জন্য এ অনুদান অনুমোদন হয় বলে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। ‘ইমারজেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্যোগ থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা। তার আগে ও পরে আসা মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। এই শরণার্থীরা রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়। শরণার্থীর কারণে ওই দুই উপজেলার জনসংখ্যা তিনগুণ বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের পাঁচটি উন্নয়ন কাজ করা হবে। সেগুলো হচ্ছে- সড়ক, ফুটপাথ, ড্রেন, কালভার্ট ও সেতু নির্মাণ এবং ক্যাম্পের ভেতরে ও রাস্তায় রাস্তায় সড়ক বাতি স্থাপন। এছাড়াও পাইপ দিয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখা ব্যবস্থা করা এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য গৃহীত এই প্রকল্পে স্থানীয়রাও উপকৃত হবে। ওই এলাকার স্থানীয়দের মধ্যেও অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব স্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হবে যেসব সুবিধা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভোগ করবে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে অত্যন্ত ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে বসবাস করছেন। এই প্রকল্প শক্তিশালী দুর্যোগ সহনীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলবে। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে প্রকল্প পরিষেবা মহিলা ও শিশুদের ওপর মনোযোগ দেবে। পানি, স্যানিটেশন সুবিধা এমন করা হবে যাতে নারী-শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ভাল সেবা পায়। এছাড়াও প্রকল্পের মাধ্যমে করা রাস্তার আলোগুলো আরও নিরাপত্তায় অবদান রাখবে। প্রকল্পটির বিশ্বব্যাংক দলের নেতা স্বর্ণা কাজী বলেন, রোহিঙ্গা জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারী এবং মেয়ে শিশু। যারা বাংলাদেশে আসার আগে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং এখন ঝুঁকিপূর্ণ। সাইক্লোন আশ্রয় কেন্দ্র, পানি, স্যানিটেশন সুবিধা নারী ও শিশুদের চাহিদা পূরণ করবে এবং রাস্তার আলোগুলো আরও নিরাপদ হবে। প্রকল্পে লিঙ্গ-বান্ধব স্থান এবং কমিউনিটি পরিষেবাগুলো নারী ও কিশোরী মেয়েদের উপযোগী করা হবে।
×