ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ভেনিজুয়েলা থেকে স্বর্ণ ক্রয় বন্ধে চাপের মুখে তুরস্ক

প্রকাশিত: ০৯:১১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 ভেনিজুয়েলা থেকে স্বর্ণ ক্রয়  বন্ধে চাপের মুখে তুরস্ক

ভেনিজুয়েলার কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় বন্ধ করতে তুরস্কের সরকার নতুন করে চাপে পড়েছে। ভেনিজুয়েলার সঙ্গে যে দেশগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েয়েছ তুরস্ক তাদের অন্যতম। বিবিসি। ধারণা করা হচ্ছে, ভেনিজুয়েলা থেকে কেনা স্বর্ণ তুরস্ক হয়ে ইরানে যাচ্ছে। যা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে করা হচ্ছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান দৃঢ়ভাবে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সমর্থন করেছেন। যারা পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান হারে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ভেনিজুুয়েলা থেকে তুরস্কের স্বর্ণ আমদানি বাণিজ্য বাড়ছে। গত বছর দেশটি তুরস্কের কাছে ৯০ কোটি মার্কিন ডলার (৬০ কোটি ৮৮লাখ পাউন্ড) মূল্যের স্বর্ণ রফতানি করেছে। এটি তুরস্কে শোধন করে ভেনিজুয়েলায় আবার পাঠানো হয়েছে। যদিও পুনরায় রফতানি করার কোন রেকর্ড নেই। সুতরাং সন্দেহের পরিমাণ বাড়ছে যে, কিছু স্বর্ণ তুরস্ক থেকে ভায়া হয়ে ইরানে যাচ্ছে। কাজটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে করা হচ্ছে। আঙ্কারা নতুন করে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সতর্কতা পেয়েছে। তাছাড়া পশ্চিমা সরকারগুলো এখন তুরস্ক, রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর বাণিজ্য সম্পর্কিত সবচেয়ে বড় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উভয়েই স্বর্ণ আমদানি করে তা গ্রহণও করেছে। সম্প্রতি ব্যক্তিগত জেট বিমান ব্যবহার করে রুশ ও তুর্কী কর্মকর্তারা কারাকাস সফর করেন। আঙ্কারা তার বাণিজ্য আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী করার ওপর বিশেষ জোর দেয়। বিরোধীদের অভিযোগ, ভেনিজুয়েলা অবৈধভাবে ও পরিবেশগতভাবে ক্ষতিকর উপায়ে স্বর্ণ উত্তোলন করে। প্রায়ই সেখানে সংঘাত-সংঘর্ষ বাধে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনিজুয়েলার স্বর্ণ বাণিজ্যে যুক্ত তার দেশের নাগরিকদের বাণিজ্য নিষিদ্ধ করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। যে কারণে আঙ্কারা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, তারা বিপজ্জনক কাজের ঝুঁকি নিচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে তুরস্ক ও ভেনিজুয়েলার মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। ২০১৮ সালে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দুবার তুরস্ক সফর করেছেন। তুর্কী প্রেসিডেন্টও দুবার ভেনিজুয়েলা সফর করেছেন। পারস্পরিক সহযোগিতা রক্ষা ও উন্নতির লক্ষ্যে এসব সফর হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সফরটি প্রথমে হয়েছে। ভেনিজুয়েলার তেলের ওপর রাজস্ব প্রবাহে নিষেধাজ্ঞা ও তেলের দামের পতন হওয়ার পর নতুন করে তুরস্ককে সতর্ক করে দিল পশ্চিমা দেশগুলো। যার ফলে কারাকাসের অন্যান্য উপায়ে রাজস্ব অর্জন ব্যাহত হবার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে স্বর্ণ ব্যবসার মাধ্যমে। গত মাসে ভেনিজুয়েলার শিল্পমন্ত্রী তারেক এল এইসামি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছাকাছি কোরুম এলাকায় অবস্থিত স্বর্ণ পরিশোধনাগার পরিদর্শন করেন। কারাকাসে সিনার গ্রুপের একটি ব্যক্তিগত জেট বিমান সেখানে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেটি ভেনিজুয়েলা সফরের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। সিনার গ্রুপটি তুরস্কের বৃহৎ একটি খনি কোম্পানি। যে কোম্পানিটি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ঘনিষ্ঠ। ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলের এমপি জোস গুয়েরা দাবি করেছেন, কারাকাসে রুশ নর্দউইন্ড কোম্পানির একটি বিমান অবতরণ করে।
×