ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে বাণিজ্যমেলায় ২৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে বাণিজ্যমেলায় ২৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করেছে ভ্যাট কর্তৃপক্ষের ঢাকা পশ্চিম জোন। ভ্যাট কর্তৃপক্ষের কমিশনার (ঢাকা পশ্চিম জোন) ড. মইনুল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারের একটি বিশেষ দল মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে গিয়ে বেশ কিছু স্টলে অনিয়ম দেখতে পায়। এতে দেখা যায়, কোন কোন প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করলেও তা সরকারী কোষাগারে জমা দিচ্ছে না। কেউ আবার ভ্যাট চালান ব্যতিরেকে পণ্য বিক্রি করছে। কোন কোন বিক্রেতা যথানিয়মে ভ্যাট পরিশোধ করছে না। ঢাকা পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার ফেরদৌসী মাহবুব ও সহকারী কমিশনার জুয়েলা খানম অভিযানটি পরিচালনা করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে নাভানা ফার্নিচার, ব্রাদার্স ফার্নিচার লিমিটেড, কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মিয়াকো, নাবিস্কো বিস্কুট এ্যান্ড ব্রেড লিমিটেড, লাভেলো আইসক্রিম, দিল্লী এ্যালুমিনিয়াম, হাজির বিরিয়ানি, স্মার্ট জোন, রয়েলেক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, এফজি জুয়েলারি, দেশ কালেকশন, মেসার্স শাহজাহান স্টোর, দ্য পার্ল হাউস, জিসান কালেকশন, কামাল এন্টারপ্রাইজ, নাছির আবেদিন ট্রেডার্স, আশরাফ এ্যান্ড ব্রাদার্স, নিদা ট্রেডিং, গৃহিণী বিরিয়ানি এ্যান্ড কাবাব, হাশেম ফুডস লিমিটেড, এস কে বি স্টেইনলেস স্টিল মিলস লিমিটেড, হাজির বিরিয়ানি এ্যান্ড শাহী কস্তুরী কাবাব, বেঙ্গল মেলামাইন লিমিটেড ও ফ্যাশন জুয়েলারি। ড. মইনুল খান বলেন, ‘যারা ভ্যাট ফাঁকির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে ভ্যাট কমিশনারেটে মামলা দেয়া হয়েছে। এসব মামলা আইন অনুযায়ী ভ্যাট কর্তৃপক্ষ নিষ্পত্তি করবে। দোষী প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ফাঁকিকৃত ভ্যাট আদায় ও জরিমানা আদায় করা হতে পারে।’ ভ্যাট কর্তৃপক্ষ জানায়, এবারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ৫১৮টি স্টল থেকে ৬ কোটি ভ্যাট আদায়ের টার্গেট ধরা হয়েছে। গতবছর মেলা থেকে আদায় হয়েছিল ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা।
×