ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে রেগুলেটর নষ্ট ॥ বোরো চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ১০:২৩, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

 লক্ষ্মীপুরে রেগুলেটর নষ্ট ॥ বোরো চাষ ব্যাহত  হওয়ার আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ২৭ জানুয়ারি ॥ জেলা সদরের মেঘনার মুখে রেগুলেটর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমের বোরো চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রেগুলেটরটি চালু করা না হলে চলতি মৌসুমে সদর উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির বোরো চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা কৃষক, কৃষি কর্মকর্তা এবং এলাকাবাসীর। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরী হাটে মেঘনার মুখে ১৪ ব্যান্ডের একমাত্র রেগুলেটরটি স্থাপিত। এটির চারটি গেট অনেকদিন থেকে বিকল। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ডের খবর নেই। মেঘনা থেকে রেগুলেটরের মাধ্যমে পানি রহমতখালী নদীতে আসে। সেখান থেকে ওয়াপদার খাল, রহমতখালী ও মিটানিয়া, ছাগলছেড়া, কোরালিয়া খালসহ বিভিন্ন খালে প্রবাহিত হয়। সেসব খাল থেকে কৃষক প্রজেক্ট বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে জমিতে সেচ দিয়ে থাকে। বর্তমানে বোরো মৌসুম শুরু হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড মেঘনা থেকে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে পারেনি। এতে কৃষকরা হাজার হাজার একর জমি প্রস্তুত করে রাখলেও সেচের পানির অভাবে বোরো চারা রোপণ করতে পারছে না। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৭ হাজার ৪১৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছর সদর উপজেলায় রয়েছে ১২ হাজার ৪৮০ হেক্টর। সদর উপজেলার সম্পূর্ণ বোরো চাষ মেঘনার এ পানির ওপর নির্ভর। অথচ এখনও সেচের পানি পাচ্ছে না কৃষক। মেঘনায় পানি থাকলেও কান্ট্রি সাইডে রহমতখালী খাল প্রায় পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। টুমচরের কৃষক আব্দুল গফুর জানান, তিনি প্রায় দেড় একর জমি প্রস্তুত করে রেখেন, অথচ সেচের অভাবে বোরো চারা রোপণ করতে পারছেন না। সদর উপজেলার ফসল উৎপাদনকারী অন্যতম বৃহৎ ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইউছুফ ছৈয়াল জানান, গেটের পশ্চিমে মেঘনায় পানি ভরাট। অথচ গেটের ভেতরে পানির অভাবে রহমতখালী খাল একেবারে পানিশূন্য।
×