ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাস্টমস এখন ব্যবসাবান্ধব

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

কাস্টমস এখন ব্যবসাবান্ধব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কাস্টমস এখন ব্যবসাবান্ধব, ব্যবসায়ীরা এখন আর হয়রানির শিকার হন না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও (এনবিআর) এখন জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছে। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কাস্টমস অনেক আগেই আধুনিকায়ন হয়েছে। আমাদের কাজ জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। আমরা সেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। এখন আর ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হন না। কারণ সব কিছু এসআইকোডা সিস্টেমে হচ্ছে। ফলে ব্যাবসায়ীরা আগে যে হয়রানির কথা বলতেন সেটা এখন আর নেই।’ কাস্টমস জননিরাপত্তা দিয়ে থাকে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বন্দরে বন্দরে এজন্য কাস্টমস কাজ করছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিভিন্ন পণ্য বা মেডিসিন সামগ্রীতে যেন ক্ষতিকর কিছু না থাকে সেদিকেও কাস্টমস সজাগ দৃষ্টি রাখছে। একই সঙ্গে রাজস্ব আহরণেও কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের উন্নয়নকে আরও বেশি ত্বরান্বিত করতে রাজস্ব আহরণের বিকল্প কিছু নেই বলেও মনে করেন তিনি। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি দুদক কার্যালয়, মৎস্য ভবন হয়ে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন মোড় হয়ে এনবিআর ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাস্টমস কমিশনার ছাড়াও চিত্রনায়ক ফেরদৌস, ফজলুর রহমান বাবু, ওমর সানী, মৌসুমী, পূর্ণিমা, নৃত্যশিল্পী নাদিয়া, সোহেলসহ অনেকে অংশ নেন। আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য র‌্যালি হয়েছে। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের পক্ষ থেকে এই র‌্যালি বের করা হয়। এতে ব্যানার, ফেস্টুন ও নানা রঙ বে-রঙের টিশার্ট পড়ে কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ সময় পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্রসহ সরকারের নানা মেগা প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরা হয়। ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড দলসহ বাংলার নানা ঐতিহ্য স্থান পায় র‌্যালিতে। কাস্টমস হাউস থেকে শুরু হওয়া র‌্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কাস্টমস কমিশনার ড. একে এম নুরুজ্জামান বলেন, ২০২১ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার মধ্যম আয়ের দেশ এবং উন্নত বিশ্বে পদার্পণ করবে। তার জন্য আমরা ইন্টারনাল সোর্স এবং কালেকশনের প্রতি অনেক মনোযোগ দিয়েছি। চট্টগ্রাম-১১ স্থানীয় সাংসদ এম এ লতিফ বলেন, আমরা আমদানি শুল্ক আয় করতে চাই না। আমরা রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে চাই।
×