ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করতে চান নায়ক ফারুক

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ৪ জানুয়ারি ২০১৯

দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করতে চান নায়ক ফারুক

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ অভিনয় জগতে আলো ছড়িয়ে এবার রাজনীতির অঙ্গনে পথচলা শুরু করেছেন অভিনেতা আকবর খান পাঠান (নায়ক ফারুক)। মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে। বয়সে প্রবীণ হলেও জীবনে প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণ করেছেন রঙিন পর্দার পরিচিত মুখ নায়ক ফারুক। বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শপথগ্রহণ শেষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদের লেভেল-৩ এ সিনিয়র সচিবের রুমে রাখা স্বাক্ষর বইতে নিজ নামের পাশে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন। শপথগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তার ভাবনা ও অনুভ‍ূতি প্রকাশ করেন নায়ক ফারুক। তিনি বলেন, সিনেমায় অনেক সময় গরিবদের জন্য কাজ করেছি। কিন্তু এভাবে বাস্তব জগতে সশরীরে কাজ করার সুযোগ সত্যি অভাবনীয়। এর জন্য আমি আমাদের পার্টির প্রধান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। গুলশান-বারিধারার এ জনপ্রতিনিধি আরও বলেন, আমি অভিজাত এলাকার এমপি হলেও এখানে দরিদ্র মানুষ রয়েছে, তাদের জন্য কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। মানুষের কাজ করতে হবে। উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নায়ক ফারুক বলেন, মজার ব্যাপার এখানে বহু কাজ করার আছে। গুলশান-বনানীতেও কষ্টের মানুষ আছে, দুঃখী মানুষ আছে। তাদের জন্য কিছু করতে চাই। তিনি বলেন, আগে সংসদ সদস্যদের ব্যাপারগুলো ছিল শত্রুতা। এমপি হিসেবে আমি হয়তো নবীন, তবে আমি ছাত্র রাজনীতি করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাজপথে নেমেছি। অভিনেতা থেকে রাজনৈতিক নেতা বিষয়টা কেমন লাগছে জানতে চাইলে নায়ক ফারুক বলেন, আসলে আমি তো একদম ভিন্ন জগতের মানুষ ছিলাম। পার্লামেন্ট মেম্বার হওয়ার পর কেমন যেন মনে হয় আইনের মধ্যে থাকতে হবে। জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। তাছাড়া কাজের একটা জবাবদিহিতা থাকতে হবে। এমপি হিসেবে আমি শিশু। তবে শিশু থেকেই আস্তে আস্তে বড় হওয়া যায়। তিনি বলেন, ভোটের মাঠে কাজ করতে গিয়ে আমি মানুষের পাশে পাশে গেছি। হাজার মানুষ আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। তখন মনে হয়েছে কিসের এমপি, ওদের জন্য কাজ করতে হবে এটাই বড় কথা। সংসদে সবাই কথা বলে তারপরেও বলার মধ্যে কি যেন একটা অভাব থেকে যায়। আমি চেষ্টা করব সেই অভাব যেন না থাকে।
×