ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিজের শেষকৃত্য দিয়ে বছর শুরু

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৩ জানুয়ারি ২০১৯

নিজের শেষকৃত্য দিয়ে বছর শুরু

পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। পুরো বিশ্ব যখন নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছে, ঠিক সেই সময়ই নিজের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করছিলেন কিছু মানুষ! আতশবাজি আর নানা রকম সাজসজ্জায় যখন ২০১৯-কে স্বাগত জানাতে মানুষ ব্যস্ত, তখন কফিনবন্দী অবস্থায় নিজেদের আত্মার শান্তি কামনা করছিলেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াসহ পুরো বিশ্বেই পালিত হয় নিউ ইয়ার ইভ। আর এই দিনেই এমন রীতি পালন করে আসছেন ব্যাংককের অদূরে বসবাসকারী বৌদ্ধধর্মাবলম্বী কিছু মানুষ। এই অঞ্চলের বাসিন্দা ফিতসনু কিয়েংপ্রাদোউক জানান, এটা তাদের অনেক প্রাচীন রীতি। তারা বিশ্বাস করেন নতুন বছরে তাদের নবজন্ম হয়। সদ্যজন্ম নেয়া শিশু যেমন নিষ্পাপ হয়, তেমনই নতুন বছর আসার আগে তারাও নিজেদের পাপমুক্ত করেন। পুরনো বছরের সমস্ত পাপ, অন্যায়, ভুল থেকে মুক্তি পান। সেজন্য প্রত্যেক বছর ৩১ ডিসেম্বর জীবিত অবস্থায় নিজেদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তারা। ৩১ ডিসেম্বর সকাল থেকেই ওই অঞ্চলের বৌদ্ধমন্দিরগুলোতে মানুষের ঢল নামে। বৌদ্ধমতে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে ভিড় জমান স্থানীয় মানুষরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরপর বেশ কয়েকটি কফিনে প্রথমে শোয়ানো হয় জীবিত ব্যক্তিদের। তাদের হাতে দেয়া হয় বিশেষ ফুল। এরপর তাদের কফিনটিকে ঢেকে দেয়া হয় গোলাপী কাপড়ে। মন্ত্রপাঠ করেন একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। কোন বৌদ্ধধর্মাবলম্বীর মৃত্যু হলে শেষকৃত্যে যে মন্ত্র পাঠ করা হয়, ঠিক সেই মন্ত্র এই রীতির সময়ও পাঠ করেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। পরিবারের সঙ্গে এই রীতিতে যোগ দিতে এসেছিলেন বুসাবা ওকোং নামের এক নারী। তিনি জানান, অনেকেই তাদের এই প্রথাকে কুসংস্কার ভাবেন। কিন্তু এই প্রাচীন রীতিতে এখনও বিশ্বাস করেন তারা। তাই তারা প্রত্যেক বছরের শেষদিন মন্দিরে যান এবং জীবিত অবস্থায় নিজেদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। -ওয়েবসাইট
×