ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে এমিলির হ্যাটট্রিক জয়

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৩ জানুয়ারি ২০১৯

মুন্সীগঞ্জে এমিলির হ্যাটট্রিক জয়

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ টানা তৃতীয় জয় পেয়েছেন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। তিনি তৃতীয়বারের মতোই হেভিওয়েট প্রার্থীদের ধরাশায়ী করে বড় জয় পেলেন। তৃণমূল পর্যায়ে এই নারী প্রার্থীর জয়ে এই অঞ্চলের মানুষ বেজায় খুশি। নারী হয়েও তিনি যেভাবে মানুষের কল্যাণে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং টেকসই উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় দলমত নির্বিশেষে মানুষ তাকে গ্রহণ করছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ২ লাখ ১৩ হাজার ৯শ’ ৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা পেয়েছেন ১৪ হাজার ১শ’ ৮৭ ভোট। এই আসনে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী প্রার্থী ছাড়া বাকি সবাই অর্থাৎ ছয় প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। ৫ হাজার ৬শ’ ৪৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ মুনসুর হোসেন, ১ হাজার ৫শ’ ৪৪ ভোট পেয়ে জাকের পার্টির মোঃ আস্র্রাফুল আলম চতুর্থ, ৫শ’ ২৩ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম পঞ্চম, ৩শ’ ৫৮ ভোট পেয়ে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মেহেদি হাসান ষষ্ঠ এবং ৩২১ ভোট পেয়ে বিএনএফ প্রার্থী মোঃ বাচ্চু শেখ সপ্তম স্থান লাভ করেন। এর আগে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনেও বিপুল ভোটে বিজয়ী হন এমিলি। তখনও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ¦ী ছিলেন টাকার কুমির বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী মাহবুবউদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম (এসপি মাহবুব)। এই জয় তাই মুন্সীগঞ্জে নারী প্রার্থী এমিলির সরাসরি ভোটে হ্যাটট্রিক জয়। সদাচরণের কারণে দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে প্রিয় এমিলি এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মহিলা সাংসদ ছিলেন। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনেও তিনি ছিলেন ব্যাপক গ্রহণযোগ্য। কিন্তু বিতর্কিত সে নির্বাচনে তার জয় রথ করা হয়। বিগত ২২ বছর ধরে মানুষের সঙ্গে লেগে আছেন বলেই তার গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়ে যায়। তাই এবার এখানে প্রতিদ্বন্দ্বীরা সুবিধাই করতে পারেননি। এই নারী এমপিকে ঘিরে তাই এখানে নারীর জাগরণ ছাড়াও নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং দেশপ্রেম ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে। এই আসনেই পদ্মা সেতুকে ঘিরে আর্থসামাজিক অবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটছে। দেশী বিদেশী কয়েক হাজার কর্মী কাজ করছেন এখানে। তাদের বসবাসসহ নানা কারণে পদ্মা তীরে নতুন নগরী গড়ে উঠছে। সেখানে তার দায়িত্বশীল প্রশংসনীয় ভূমিকা আলোচিত। তাই মাওয়ার মতো স্থানে পদ্মা সেতুর জমি অধিগ্রহণ সহজ হয়। উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নেয় এই অঞ্চল।
×