ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়নের বৈঠা ফের শেখ হাসিনার হাতে

প্রকাশিত: ০৫:০০, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

  উন্নয়নের বৈঠা ফের শেখ হাসিনার হাতে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ উন্নয়নের সিঁড়িতে আবারো পা রাখতে রবিবার ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ছিল নজরকাড়া। হাটহাজারীর কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজ প্রাঙ্গণে অনেকটা সাপের লেজের মতোই লাইনে দাঁড়িয়েছে। নবীন প্রবীণ বলে কোন ভেদাভেদ নেই এক একটি লাইনে প্রায় অর্ধ সহস্র ভোটার নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রত্যাশায় অপেক্ষার প্রহর গুনেছিল। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, বেশিরভাগই উন্নয়নের পক্ষে গণজোয়ার। যেন উন্নয়নের বৈঠা আবারও মহাজোটের মধ্যমণি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ধরিয়ে দিতে চায় এদেশের জনগণ। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত গত ১০ বছরের উন্নয়নের জোয়ারে আবারো আওয়ামী লীগের হাতেই নৌকার বৈঠা তুলে দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চায় দেশবাসী। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, সবাই ১০ বছরের উন্নয়নকে ২০ বছরে উন্নীত করতে চায়। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে জিতিয়ে দিলেই উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে এমন ধারণা ভোটারদের। এদিকে, চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার অব্যাহত রেখেই লাল সবুজের পতাকায় মোড়ানো সবুজের এই দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেয়া। মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারলেই দেশের জনগণের আর তেমন কিছু চাওয়ার থাকে না এমন দাবি ভোটারদের। আর এইসব দাবি পূরণ হলেই হতদরিদ্র জনগণের আর কিছু বলার থাকে না। নাগরিক অধিকার ছাড়া বাকিসব উন্নয়ন দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন। বিশ্বে দেশকে উন্নয়নশীল করতে ক্রমাগত উন্নয়নের বিকল্প নেই। উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিকল্প নেই এমন মন্তব্য সচেতন নাগরিকের। নগরী ও নগরীর বাইরের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর নিরাপত্তায় থাকায় জাল ভোট প্রদানকারীরা ভোটকেন্দ্রের ৪শ’ গজের মধ্যে ভিড়তে পারেনি। ফলে নিরাপদে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। রবিবার নগরীর পাহাড়তলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে কয়েকটি বুথে নৌকা ছাড়া ধানের শীষ ও অন্য প্রতীকের এজেন্ট না থাকায় ভোটগ্রহণে আধঘণ্টারও বেশি বিলম্ব হয়েছে। এই কেন্দ্রের ৭নং বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিনু রাণী দেবী জানান, শুধু নৌকার প্রতীকের এজেন্ট আসায় ব্যালেট বাক্স লক করা যাচ্ছে না। সকাল প্রায় সাড়ে আটটার দিকে ধানের শীষের প্রতীকের এজেন্ট পৌঁছানোর পরই আধঘণ্টা দেরিতে ভোট শুরু হয়। এই বুথে পোলিং এজেন্ট ছিলেন মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। এরপর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার জিরো পয়েন্টে থাকা পার্বতী মডেল স্কুলে ভোটকেন্দ্রে সকাল সাড়ে নয়টায় গিয়ে দেখা গেছে শতকরা পাঁচভাগ ভোটাধিকার প্রয়োগ হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় একই উপজেলার ১১৯নং কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন কলেজ কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের ৬ হাজার ৫৯৩ জন ভোটারের মধ্যে বিভিন্ন বুথে গিয়ে দেখা গেছে ভোটাধিকার প্রদানের জন্য হাজারেরও বেশি ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল।
×