ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

উবাচ

অনিশ্চয়তায়! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়ার মুডেই ছিল না, ছিল আন্দোলনের মুডে। এখনও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাঝে মধ্যেই বলছেন কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। কেন, কী কারণে? এমন প্রশ্নের উত্তর হতে পারে আমরা তো আন্দোলনই করতে চেয়েছিলাম নির্বাচন তো নয়। নির্বাচন করতে চাইলে একটি আসনে এত মানুষকে মনোনয়ন দিতে হয়। বুঝে শুনে জনপ্রিয়তা যাচাই করে একজনকে মনোনয়ন দেয় দলগুলো। বিএনপিও অতীতে তাই করত, কিন্তু এবার তা হয়নি। প্রতিটি আসনে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। দল তো গেল, জোটেরও একই অবস্থা। ড. কামাল হোসেন তো শেষ পর্যন্ত নির্বাচনেই এলেন না। জোটের আরেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না আওয়ামী লীগের এক নেতার নাম নিজের প্রার্থী তালিকায় রেখে উকিল নোটিস হজম করেছেন। এই যাদের অবস্থা তারা বলছেন, সরকারের নাকি মাথা ঘুরে গেছে। ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণার পর সরকার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। এর আগে তিনি জনগণ নিয়ে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু ড. কামাল এত মানুষ কোথায় পাবেন শুরু থেকেই এই প্রশ্ন ছিল। সরকার ‘যেনতেন নির্বাচন’ যাতে না করতে পারে সে জন্য জনগণের পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও ‘পাহারাদারের’ ভূমিকা পালন করতে হবে। ড. কামালের কথায় জনগণ আসুক বা না আসুক গণমাধ্যম তো থাকবে সুতরাং তারা পাহারা দিলেই তো হলো। পুতুল নাচ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগে থেকেই হাইকোর্ট বলেছিল দ-িতরা নির্বাচন করতে পারবেন না। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৭ বছরের দ- নিয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার সুযোগ ছিল না। এরপরও দেখা গেল দুর্নীতির দায়ে দ-িত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য তিনটি আসনে বিএনপি মনোনয়ন ফরম কিনল। আইন অনুযায়ী বিএনপি নেত্রীর মনোনয়ন বাতিলও হলো। স্বাভাবিকভাবেই যা হওয়ার কথা ছিল তাই হয়েছে। কিন্তু এপরপরও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, টার্গেট করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের ৫০ জন হেভিওয়েট জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্যদের মনোনয়নপত্র বিনা অজুহাতেই বাতিল করা হয়েছে। দিনে কয়েকবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলা এই নেতা কোনদিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি বলে কি আইনও জানেন না। সম্প্রতি সচিবদের বৈঠকের ভুয়া খবর দিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছিলেন। আইন কিংবা সত্য-মিথ্যার ধারও ধারেন না এই নেতা। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে ‘পুতুল নাচের’ আসরে পরিণত করা হয়েছে। কে এম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন যে ক্ষমতাসীনদের ‘নির্দেশের বাইরে’ এক পাও এগোতে পারবে নাÑ তা মনোনয়ন বাতিলের চিত্র থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেছে তার কাছে। মাথা কই স্টাফ রিপোর্টার ॥ কথিত আছে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেন, আমরা সব কিছু ঠিকঠাক করে আনি আর তোমরা লন্ডনী ছোকরার কথা শুনে সব এলোমেলো করে ফেল। এটি কার বক্তব্য আর কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে সহজে অনুমান করা হয়। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে নেতাদের এই হাটে মাথা কই। কে নেতাদের নেতা নাকি আগে যেমন বিএনপি চলত লন্ডনী আদেশে এমনই চলছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা থাকলেও ‘মাথা’ নেই। ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, নির্বাচনে জিতলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা ঘোষণা করতে না পারা এই জোটের সবচেয়ে বড় পরাজয়। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা থাকলেও মাথা নেই। তাদের এমন কোন ফেস নেই যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
×