ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গী, যুদ্ধাপরাধীর সন্তানদের হাতে বিএনপির টিকেট

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

জঙ্গী, যুদ্ধাপরাধীর সন্তানদের হাতে বিএনপির টিকেট

শংকর কুমার দে ॥ জঙ্গী, যুদ্ধাপরাধী, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামি, স্বাধীনতাবিরোধী পক্ষের ব্যক্তি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যার হাতে একাদশ জাতীয় সংসদের মনোনয়নপত্রের ফরম তুলে দিলো ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল বিএনপি। জঙ্গীবাদে যারা মদদ জুগিয়েছে, দুর্নীতি, সন্ত্রাসের যারা পৃষ্ঠপোষক, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দণ্ডিত ব্যক্তির সন্তানসহ দুর্বৃত্তায়নের সহযোগীরা রয়েছে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল বিএনপির মনোনয়ন পেতে আগ্রহী ও মনোনয়নের তালিকায়। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতার লড়াইয়ে জয়ী হতে এই ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তি, তাদের সন্তান ও প্রজন্মকে এভাবে করা হচ্ছে পুরস্কৃত। বিএনপির মনোনয়ন পেতে ও মনোনয়ন তালিকা যাচাই বাছাই করে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিস থেকে এই ধরনের তথ্য উদঘাটন করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকায় দেখা যায়, জয়পুরহাট-১ আসনের প্রার্থী হয়েছেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে দ-িত আবদুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ধানের শীষে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন পিরোজপুর নির্বাচনী এলাকায়। বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রামে বিতর্কিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়নে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-ে দ-িত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর গোটা পরিবারেই আস্থা রেখেছে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীকে ‘হত্যার হুমকির’ মামলায় কারাগারে যায় গিয়াস কাদের চৌধুরী। চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে সালাউদ্দিন কাদেরের ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে তার ছেলে সামির কাদের চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দিয়েছে বিএনপি। অধিকাংশ আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী দেয়ার ধারাবাহিকতায় রাউজানেও গিয়াস কাদেরের সঙ্গে তার ছেলেকে রাখা হয়। ১৯৯১ সালে এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তখন তিনি ছিলেন এনডিপিতে, পরে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। পরের নির্বাচনগুলোতে তিনি রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৫ সালের ২১ নবেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে একাত্তরে ‘চট্টগ্রামের ত্রাস’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। যুদ্ধকালে চট্টগ্রাম অঞ্চলে নজিরবিহীন নিষ্ঠুরতার জন্য ‘সাকা চৌধুরী কোন উদারতা পাওয়ার যোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছে উচ্চ আদালত। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা যুদ্ধাপরাধের রায়ে মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়া সেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর-নেছারাবার ও নাজিরপুর) নির্বাচনী এলাকায় যুদ্ধাপরাধের মামলায় আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পুত্র শামীম সাঈদী বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। কোন কারণে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেলে জামায়াত থেকে নির্বাচন করবেন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোট থেকে ওই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে বিএনপির ধানের শীষে সাঈদীর মেঝো ছেলে মনোনয়ন চেয়েছেন শামীম সাঈদী। জোটগত নির্বাচন না হলে এককভাবে হলেও শামীম সাঈদী এ আসনে নির্বাচন করবেন বলে ঘনিষ্ঠজনদের জানিয়েছেন তিনি। যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করা নিজামী, মুজাহিদ এবং সাঈদী পুত্ররাও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা বিভিন্নভাবে প্রচারও চালাচ্ছেন। যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদ-ে দ-িত মতিউর রহমান নিজামীর পুত্রকে সিরাজগঞ্জ, আলী আহসান মুজাহিদের পুত্রকে ফরিদপুর, কামরুজ্জামানের স্ত্রী অথবা পুত্রকে জামালপুর থেকে এবং আমৃত্যু কারাদ- দ-িত দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্রকে দিয়ে নির্বাচন করাবে জামায়াত। ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হিসেবে জামায়াতের হয়ে বিএনপির ধানের শীর্ষে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুদ্ধাপরাধীর সন্তানরা। বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন জঙ্গীবাদে অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে সাকিলাকে প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়েছে। সাকিলার বাবা প্রয়াত সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম এক সময় ওই আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। সংসদে হুইপের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদেও ছিলেন তিনি। জঙ্গীবাদে মদদ দেয়ার জন্য বিএনপিকে বরাবরই দায়ী করে আসার মধ্যেই শাকিলাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেয়া হলো। জঙ্গী সংগঠন হামজা বিগ্রেডকে অর্থায়নের অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৮ অগাস্ট ঢাকার ধানম-ি থেকে গ্রেফতার করা হয় সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী সাকিলাকে; তার দুই সহকর্মী আইনজীবীকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল সেদিন। গ্রেফতারের পর তাদের ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর লটমনি পাহাড়ে জঙ্গী আস্তানা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয় সাকিলা ফারজানাকে। এরপর হাটহাজারীর আবু বকর মাদ্রাসা থেকে ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে জঙ্গীদের ‘তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ পাওয়ার ঘটনায় হাটহাজারী থানায় সন্ত্রাস ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেকটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় ফারজানাসহ তার সহযোগীদের। কয়েকদফা রিমান্ড শেষে সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০১৬ সালের ৭ জুন কারাগার থেকে মুক্তি পান সাকিলা। হেফাজতে ইসলামের দুই কর্মীর কথায় ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা শহীদ হামজা বিগ্রেডের সংগঠক মনিরুজ্জামান ডনের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে এক কোটি আট লাখ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সানজিদা এন্টারপ্রাইজের এ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এবং এ টাকা দিয়ে বাঁশখালীতে জঙ্গী প্রশিক্ষণের জন্য অস্ত্র কেনা হয়েছে। এখন সেই জঙ্গী অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানাই এখন বিএনপির মনোনয়নের তালিকায় ধানের শীষে নির্বাচনের প্রার্থী। বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন জঙ্গীগোষ্ঠী জামা‘আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইকে নানাভাবে মদদদানকারী বিএনপি-জামায়েতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৪ সালে বিএনপির মন্ত্রী আমিনুল হক, উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংসদ নাদিম মোস্তাফা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন তারা রাজশাহী ও নাটোর নির্বাচনী এলাকায়। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালেই ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন তারা। ২০০৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে রাজশাহী অঞ্চলের বাগমারা, রানীনগর ও আত্রাই উপজেলায় বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জঙ্গীরা ‘সর্বহারা’ দমনের নামে হত্যা-নির্যাতনসহ অরাজকতা কায়েম করে তার মদদদাতা ছিলেন তৎকালীন বিএনপির মন্ত্রী আমিনুল হক, উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সাংসদ নাদিম মোস্তাফা। সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই ২০০৬ সালের মার্চে গ্রেফতার হওয়ার পর টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে যে জবানবন্দী দেন, তাতে আমিনুল হক, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার ও নাদিম মোস্তাফার সহযোগিতা পাওয়ার কথা বলেছিলেন। জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানসহ ছয় জনের সঙ্গে সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়েরও সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। ওই সময়ে বিএনপির মন্ত্রী আমিনুল হকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন বিএনপিরই আরেক সাংসদ আবু হেনা। এখন আবারও বিএনপি থেকে ধানের শীর্ষের নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মনোনয়ন পেয়েছেন তারাই। এমনকি রুহুল কুদ্দুছ তালুকদারের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও বিএনপির মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন। বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় আছেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামি মৃত্যুদ-াদেশ মাথায় নিয়ে কারাগারে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রীর নামও। লুৎফুজ্জামান বাবর নির্বাচন করতে না পারার কারণে তার স্ত্রীকে মনোনয়ন দিচ্ছে বিএনপি। বিএনপি সরকারে সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ছিলেন দুর্নীতির আখড়া হাওয়া ভবনের তারেক রহমানের আস্থাভাজন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে দফতর থাকা সত্ত্বেও দফতরবিহীন মন্ত্রী করে পুরো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভার ন্যাস্ত করা হয় বাবরের হাতে। বাবরের সময়েই ঘটে ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচার ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ অনেক বোমা হামলার ঘটনা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারিয়েছিল দলটির ২৪ নেতাকর্মী। অথচ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপিয়েছিলেন বাবর। বিএনপির মনোনয়নের তালিকায় বাবরের জায়গায় এখন বাবর পতœী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনে বিএনপির মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী। তার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালীউল হাসানের কাছে এ মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়। এ সময় মদন উপজেলা বিএনপি ও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালে এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। এরপর ১৯৯৬ সালে পরাজিত হলেও ২০০১ সালে তিনি আবার নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাবর বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হন। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বাবর এখন আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বিধায় বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মৃত্যুদ-াদেশসহ অন্যান্য মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণীকে। পটুয়াখালী-১ থেকে ‘আল্লাহর মাল’ অভিহিত সেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীও মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির। অথচ বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময়ে যখন আলতাফ হোসেন চৌধুরী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তখন তার সময়েই সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন হয়। সন্ত্রাসীর গুলিতে বাবার কোলে থাকা সন্তান নিহত হওয়ার পর এই মন্ত্রী আলতাফ চৌধুরীই মন্তব্য করেছিলেন, ‘আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়েছেন।’ এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল তখন। যুদ্ধাপরাধীর দোসর ও রাজাকার তোষণকারী হিসেবে বিএনপির যে ভাবমূর্তি শুরু থেকেই তৈরি হয়েছিল তা আবারও দলের মনোনয়ন তালিকায় তাদের সন্তানসহ নামের তালিকায় রেখে পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে বিএনপি। নিবন্ধন না থাকায় জামায়াত স্বনামে নির্বাচন করতে পারছে না, তাই দ-প্রাপ্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী, জঙ্গী অর্থায়নকারী, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ পৃষ্ঠপোষকদের সন্তানের ভরসা হিসেবে বিএনপির মনোনয়নের তালিকায় থাকছে ধানের শীষই।
×