ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শীতের শুরুতেই ঢাকা আবার ধুলার নগরে পরিণত হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ২৪ নভেম্বর ২০১৮

 শীতের শুরুতেই ঢাকা আবার ধুলার নগরে পরিণত হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুরু হয়ে গেছে শীত মৌসুম। শীতের শুষ্কতার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ায় বাতাসে উড়ছে ধূলা। অন্য মৌসুমের চেয়ে ধূলার মাত্রা এখন কয়েক গুণ বেড়ে গিয়ে গোটা মহানগর যেন হয়ে উঠেছে ‘ধূলার নগর’। কয়েকটি কারণে নগরজুড়ে ধূলার এহেন আগ্রাসন। কারণগুলোর মধ্যে আছে যানবাহনের অধিক চলাচল, শহরের রাস্তায় ঘনঘন ও যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি, নতুন বাড়ি ও নানা অবকাঠামো ভাঙ্গা-গড়ার কাজে ধূলো ও জঞ্জাল প্রতিরোধকের ব্যবস্থা না রাখা, ড্রেনের ময়লা রাস্তায় পাশে উঠিয়ে রাখা, ফ্লাইওভার নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে দীর্ঘসূত্রতা। অতিমাত্রায় ধূলার কারণে চরম অস্বস্তিতে নগরবাসী। আর এতে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে ধূলাজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগজীবাণুমিশ্রিত ধূলা ফুসফুসে প্রবেশ করে। এই ধূলা ফুসফুসের ক্যান্সার, ব্রংকাইটিস, শ্বাসজনিত কষ্ট, হাঁপানি ও যক্ষ্মাসহ নানা জটিল রোগের সৃষ্টি করছে। রাস্তার পাশে দোকানের খাবার প্রতিনিয়ত ধূলায় বিষাক্ত হচ্ছে। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ছে তারাই সবচেয়ে বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ধূলার আধিপত্য। এমন কোনো সড়ক নেই যেখানেই ধূলার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। ধূলা রোধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ঘটা করে পানি ছিটানোর গাড়িও নামিয়েছে বিভিন্ন সড়কে। কথা ছিল, প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে দুবার করে পানি ছিটানো হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। পানি ছিটানোর ঢাকঢোল পেটানো কার্যক্রমটি এখন পর্যন্ত ঢিমেতালেই হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন পানি ছিটানোর দাবি করলেও আজিমপুরের বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, ‘প্রথম দুই একদিন পানির গাড়ি এসেছিল, এখন আর দেখা যায় না। রাস্তায় এতো পরিমাণ ধূলা যে, বাসার জানালা খুলতে পারি না। সারাদিন সব জানালা, দরজা বন্ধ করে থাকতে হয়। একটা অস্বাস্থ্যকর, অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে আছি আমরা।’ প্রসঙ্গত, ডিএসসিসি’র প্রধান সড়কগুলো ধূলামুক্ত রাখতে গত বছর সড়কে পানি ছিটানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন করে মেয়র সাঈদ খোকন।
×