ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজালালে ফের খাটের বড় চালান ধরা পড়েছে

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

শাহজালালে ফের খাটের বড় চালান ধরা পড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কিছুদিন বিরতির পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফের ৮৭০ কেজি নিউ সাইকোট্রপিক সাবসটেন্সেস (এনপিএস) তথা ‘খাট’ নামে পরিচিত মাদক জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া মাদক বিভাগের অভিযানে ধরা পড়েছে রাজধানীর ইয়াবা গডফাদার ডব্লিউ। পুলিশের অভিযানে ধরা পড়েছে ৪৬ মাদকসেবনকারী ও বিক্রেতা। শনিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফরেন পোস্ট অফিস থেকে এসব মাদক জব্দ করা হয়। ইথিওপিয়া থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে ৪৯ সন্দেহজনক কার্টন আসে। সেগুলোকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। পরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে কার্টনগুলো খোলা হয়। এতে ‘গ্রীন টি’র মতো দেখতে পণ্য দেখা যায়, যা মূলত ইথিওপিয়ান গাঁজা বা খাট। পরে জব্দ কার্টনগুলোকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সম্প্রতি বিমানবন্দরে খাটের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর পর পর বেশ কিছু চালান ধরা পড়ে। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার আবার ধরা পড়ল খাটের বড় এ চালান। এদিকে পরিদর্শক কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক অভিযানে ধরা পড়েছে রাজধানীতে ইয়াবার অন্যতম গডফাদার ও দৈনিক বাংলা মোড়ের হোটেল সালমার মালিক ডব্লিউ। হোটেলের ২১৬ নং রুমে বসে ইয়াবা বিক্রির সময় হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার রুম থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। কামরুল ইসলাম জানান, আটকের পর ‘ডব্লিউ’ স্বীকার করেন, কক্সবাজার থেকে বিভিন্ন বিলাসবহুল পরিবহনে সরাসরি ইয়াবার চালান এনে তার হোটেলের বিভিন্ন রুমে লুকিয়ে রাখা হয়। এখান থেকে হোটেল বর্ডারদের ইয়াবা সেবনের সুযোগ দেয়া হতো। এ জন্য তার এ হোটেলের ভাড়াও অনেক বেশি। মূলত হোটেল ব্যবসার আড়ালে ডব্লিউ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছে। এর আগেও দুই মামলায় তাকে দুবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। অপর এক অভিযানে কামরাঙ্গীরচরের মাদকবিক্রেতা শফিককে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকেও ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এদিকে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকসেবন ও বিক্রির অভিযোগে ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। শুক্রবার ভোর থেকে শনিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ডিএমপির বিভিন্ন থানা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মাদকবিরোধী এই বিশেষ অভিযান চালায়। ডিএমপির মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ওবায়দুর রহমান জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৮১৯ পিস ইয়াবা, ৮৮৯ গ্রাম (১০৭৩ পুরিয়া) হেরোইন, ৪০০ গ্রাম গাঁজা ও ৪৩২ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
×