ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উপকূলে বিশুদ্ধ পানি ও আবাসনের টেকসই প্রযুক্তি দরকার

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

উপকূলে বিশুদ্ধ পানি ও আবাসনের টেকসই প্রযুক্তি দরকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উপকূলীয় অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও আবাসন তৈরিতে টেকসই প্রযুক্তি দরকার। যাতে উপকূলবাসী সহজেই স্বল্প খরচে লবনাক্ত পানি বিশুদ্ধ করতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী আবাসন তৈরি করতে পারে। পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ সোমবার এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় একথা বলেছেন। আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনে দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। কর্মশালায় ক্লাইমেট টেকনোলজি সেন্টার এ্যান্ড নেটওয়ার্কের কারিগরি সহায়তায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ও স্বল্প খরচে দীর্ঘস্থায়ী আবাসন তৈরির প্রযুক্তির বিষয়ে সমীক্ষা রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালার উদ্বোধন করতে গিয়ে কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘দেশের উপকূলীয় এলাকা ও দ্বীপগুলোতে মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য হাহাকার করছে। লবনাক্ততা এখন অনেক ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। গভীর নলকূপ স্থাপন করেও পর্যাপ্ত পানির যোগান দেয়া যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, উপকূলের লাখ লাখ মানুষের জন্য স্বল্প খরচে লবনাক্ত পানি বিশুদ্ধকরণের প্রযুক্তি দরকার। পিকেএসএফ ইতোমধ্যে পানি সরবরাহে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি অভিঘাত পড়ে উপকূলীয় অঞ্চল ও দ্বীপগুলোতে। পানি ছাড়াও এসব এলাকার মানুষের প্রধান সমস্যা আবাসন। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য প্রাকতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষম স্বল্প খরচে দীর্ঘস্থায়ী আবাসন দরকার। এই সমীক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প খরচে আবাসনের প্রযুক্তি পাওয়া গেলে তা ওই এলাকার মানুষের জন্য খুবই সহায়ক হবে।’ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য পিকেএসএফ বড় আকারে আবাসন প্রকল্প নিয়ে আসছেও বলেও তিনি কর্মশালায় জানান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ। আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুল কাদির, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. রেজাউল করিম, কেআইসিটির পরিচালক ড. চেং ইউ চে, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মীর্জা শওকত আলী, উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ড. নীলুফার বানু প্রমুখ
×