ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ অনুর্ধ-১৫ ফুটবলের সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ আজ ভারত

ফাইনাল নিশ্চিতের লড়াই বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১ নভেম্বর ২০১৮

ফাইনাল নিশ্চিতের লড়াই বাংলাদেশের

রুমেল খান ॥ প্রতিপক্ষ অনেক কঠিন। তবে লক্ষ্য এবং মনোবল দুটোই সাফল্য পেতে অটুট। সেই ভরসাতেই আজ নেপালের ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে মাঠে নামবে বাংলাদেশের কিশোর ফুটবলাররা। সকাল পৌনে ১১টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। তাদের হারাতে পারলেই দ্বিতীয়বারের মতো সাফ অনুর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নাম লেখাতে পারবে মোস্তফা আনোয়ার পারভেজের শিষ্যরা। এর আগে ২০১৫ আসরে এই ভারতকেই টাইব্রেকারে ৪-২ (১-১) গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশের কিশোররা। আজ দ্বিতীয় সেমিতে স্বাগতিক নেপাল খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এবার সাফের আগে প্রস্তুতি নেবার খুব বেশি সময় পায়নি বাংলাদেশ দল। তাই নেপালে সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়েই খেলতে যায় লাল-সবুজরা। তাদের সেই প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এখন তাদের লক্ষ্য ফাইনালে খেলা। স্বাভাবিকভাবেই শেষ চার উৎরাতে পারলে বাংলাদেশের চোখ থাকবে শিরোপা পুুনরুদ্ধারে। ‘এ’ গ্রুপে নেপাল এবং মালদ্বীপকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৯-০ গোলের বিশাল জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় পারভেজ বাবুর শিষ্যদের। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে তাই স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াইটা ছিল গ্রুপসেরা হবার। ওই ম্যাচে স্বাগতিক দলটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ দল ভারতকে। এবারের আসরে ভারতকে মোটেই সহজ প্রতিপক্ষ বলা যাবে না। তারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে যদিও পাকিস্তানের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ভুটানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেমিতে নাম লেখায়। বিষয়টি মাথায় আছে বাংলাদেশ দলের কোচেরও। তিনি সে অনুযায়ীই পরিকল্পনা সাজিয়েছেন সেমিফাইনালকে ঘিরে। এ প্রসঙ্গে কোচ পারভেজ বলেন, ‘সেমিফাইনাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। পাকিস্তান-ভারত ম্যাচটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেখান থেকে কিছু নোট নিয়েছি ভারত সম্পর্কে। আমাদের দলে কোন ইনজুরি নেই। সবাই সুস্থ আছে। ভারতের ম্যাচ দেখে একটা গেমপ্ল্যান তৈরি করেছি। সেটি নিয়ে আজও (বুধবার) কাজ করেছি। ইনশাল্লাহ ভারতকে হারিয়েই আমরা ফাইনালে যাব। এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইছি।’ ভারতের চেয়ে একটি বিষয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ দল। সেটা গোলসংখ্যায় এবং জয়ে। এই আসরে বাংলাদেশই এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১১ গোল করেছে এবং হজমও করেছে সবচেয়ে কম গোল (১টি)। এছাড়া এখনও অপরাজিত আছে তারা। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে আশা জাগানিয়া নামটি হচ্ছে নিহাত জামান উচ্ছ্বাস। এ পর্যন্ত চারটি গোল করেছে সে। তাও আবার এক ম্যাচেই (প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ)। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারও সে। আজ স্বভাবতই তার নৈপুণ্যের দিকে তাকিয়ে থাকবে কোটি বাংলাদেশী ফুটবলপ্রেমীরা। এছাড়া বাংলাদেশের আশিকুর রহমান এবং রাসেল আহমেদও কম যায় না। তারা করেছে দুটি করে গোল। বাংলাদেশের এই ১১ গোল করেছে মোট ছয় ফুটবলার। তার মানে স্কোরারের অভাব নেই দলটির। যে কোন পরিস্থিতিতে যে কেউই গোল করতে পারঙ্গম দলটির। নির্দিষ্ট কারুর ওপর তারা নির্ভরশীল নয়। এটাই দলের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট। উচ্ছাস কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সন্তান। এর আগে সে খেলেছে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে। তার কৃতিত্বের মূল্য দিতে ভুল করেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
×