ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আইন করে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৯ অক্টোবর ২০১৮

 আইন করে কোচিং  বাণিজ্য বন্ধের  ঘোষণা  শিক্ষামন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন করে কোচিংবাণিজ্য বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বলেছেন, এজন্য শিক্ষা আইন তৈরি করা হচ্ছে। ভালভাবে করা হচ্ছে। দেশে অনেক বুদ্ধিজীবী ও স্টেকহোল্ডার (অংশীজন), তাদের মতামত নেয়া হচ্ছে। এই আইনটি অনেক বড় বিষয়। এজন্য মন্ত্রিসভা ও সংসদে আরও আলোচনা করা উচিত। রবিবার সচিবালয়ে শিক্ষা বিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ এ্যাডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম’র (বিইআরএফ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রীর বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যের সূত্র ধরে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ৩৪ হাজার কোটি টাকার কোচিংবাণিজ্য হয়। আমরা কোচিংবাণিজ্য বন্ধে কাজ করে যাচ্ছি। কারণ এটা বেআইনী। আইন প্রয়োগ করেই কোচিংবাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। ক্লাসরুম আরও আকর্ষণীয় ও পাঠ্যবই সহজীকরণ করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে যেতে না হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, দেশের পাঁচ হাজার দুই শ’ অতিরিক্ত শ্রেণী-শিক্ষকের (এসিটি) যে কোন উপায়ে স্থায়ী করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসব শিক্ষকের জন্য নতুন কোন পদ বের করে স্থায়ী করা হবে। কারণ, তারা অনেক মেধাবী এবং ইতোমধ্যে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। আর তাদের বেশিরভাগেরই চাকরির বয়স চলে গেছে। সাধারণত প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে বিদায় করে দেয়া হয়। কিন্তু আমরা তা করব না। তাদের স্থায়ী করার ব্যবস্থা নেব। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা মল্লিক, সহ-সভাপতি মোর্শেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম আববাস, যুগ্ম-সম্পাদক শারমিন নিরাসহ ২০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। এ সময় গণশিক্ষামন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তুলে ধরেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এ সময় বলেন, ২০১৯ সালে দেশে কোন জরাজীর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে না। এছাড়া অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব তার মন্ত্রণালয় নিতে প্রস্তুত আছে। যখন এ দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে তখন থেকেই মন্ত্রণালয় এ দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
×