ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কারাবন্দী খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনের আগে মুক্তি পাচ্ছেন না

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২১ অক্টোবর ২০১৮

কারাবন্দী খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনের আগে মুক্তি পাচ্ছেন না

বিকাশ দত্ত ॥ দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মুক্ত হতে পারছেন না। ধারাবাহিকভাবে তার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। ৩৬ মামলার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টে যার আপীল শুনানি চলছে। আর জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। দুর্নীতির মামলায় দ-িত হবার কারণে বেগম জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এমনই আভাস দিয়েছেন বর্তমান ও সাবেক আইনমন্ত্রীসহ আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি। একই সঙ্গে গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত বএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। যদি উচ্চ আদালতে এ দ-ের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশসহ হাইকোর্টে নিরপরাধ বলে গণ্য হন তা হলেই খালেদা জিয়া-তারেক রহমান নির্বাচন করতে পারবেন। তা না হলে খালেদা-তারেক নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। তারেক রহমানকে এ দ-ের বিরুদ্ধে আপীল করতে হলে দেশে এসে আত্মসমর্পণ করতে হবে। প্রথমে তাকে জেলে যেতে হবে। তারপর বিচারিক আদালতের দ-ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করতে হবে। এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ মামলায় খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপীল শুনানি অব্যাহত রয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় আগামী ২৯ অক্টোবর সোমবার ঘোষণা করা হবে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার পর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও ৩৪টি মামলা চলমান রয়েছে। এ দুটি মামলা ছাড়াও তিনটি দুর্নীতি মামলা চলমান আছে। এর মধ্যে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ১৫ নবেম্বর দিন ধার্য আছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলা নিয়ে রিভিশন খারিজ করে দেয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ৮ নবেম্বর ধার্য করেছে আদালত। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে নৈতিক স্খলনের জন্য দুই বছরের অধিক সময় যদি কারও সাজা হয় তাহলে তিনি সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন না। হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্টের দুটি রায় আছে, যেখানে এ ব্যাপারে কিন্তু সুনিশ্চিত বলা হয়েছে আপীল যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই মামলাটা পূর্ণাঙ্গ স্থানে যায়নি সেজন্য দ-প্রাপ্ত হননি সেজন্য ইলেকশন করতে পারবেন, আবার আরেকটা রায়ে আছে পারবেন না। এখন উনার ব্যাপারে আপীল বিভাগ এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তাদের ব্যাপার। সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যুন দুই বছরের কারাদ-ে দ-িত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না। অন্যদিকে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ জনকণ্ঠকে বলেছেন, ফৌজদারি মামলায় দ-প্র্রাপ্ত হলে, সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক বার (বাধা) রয়েছে। ন্যূনতম ২ বছর দ-প্রাপ্ত হলে এবং তারপর ৫ বছর অতিবাহিত না হলে সে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। হাইকোর্ট যদি সাজা স্থগিত করে এবং আসামিকে জামিন দেয়, সেক্ষেত্রে পারবে কিনা জানতে চাইলে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, সাজা স্থগিত করলে তো সাজা বাতিল হলো না। সাজা খাটা হলো না। সেক্ষেত্রেও পারবে না। তবে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, দ-িত যদি উচ্চ আদালতে আবেদন করে এবং আবেদনের যুক্তি দেখে আদালত সন্তুষ্টি সাপেক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের অনুমতি দেয়, সেক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জনকণ্ঠকে বলেন, যেহেতু জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে তাই যেদিন নমিনেশন পেপার সাবমিট করতে হবে সেদিন মুক্ত না হলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। অন্যদিকে তারেক রহমানের গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। তিনি বর্তমানে পলাতক। তাকে আপীল করতে হলে প্রথমেই জেলে যেতে হবে। তারপর উচ্চ আদালতে আপীল করতে হবে। তা না হলে তিনিও নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। সব মিলে নির্বাচনের আগে হাইকোর্ট থেকে নিরপরাধ বলে গণ্য না হন, তা হলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দু’জনই নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জনকণ্ঠকে বলেছেন, যেহেতু জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি হাইকোর্টে আপীল পেন্ডেং আছে সেহেতু তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় বিষয়ে তিনি বলেন দেখা যাক কি হয়। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর তারেক রহমানের বিষয়টি ভিন্ন। তিনি দেশের বাইরে আছেন। আপীল করতে পারবে না। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে আসতে পারবে। অন্যদিকে ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে আদালত। আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর এদিন ধার্য করেন। মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে করা মামলায় বলা হয়, ‘২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। তিনি (খালেদা জিয়া) রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি ও গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন। ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ভুয়া জন্ম দিনের মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছর ২৭ নবেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণœ করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন পালন করেন। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের মদদের মামলাটি ২০১৬ সালের ৩ নবেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত ) এবিএম মশিউর রহমান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই বছর ১২ অক্টোবর সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় আগামী ২৯ অক্টোবর সোমবার ঘোষণা করা হবে। ১৬ অক্টোবর রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মোঃ আখতারুজ্জামান এদিন ধার্য করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, মামলাটির আদেশ দেয়ার দিন ধার্য ছিল। তাই আপনি (বিচারক) মামলাটির আদেশ দেন। তিনি বলেন, তারা (খালেদা জিয়ার আইনজীবী) উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে কিনা, এ বিষয়ে রিট পিটিশন করেছিলেন। উচ্চ আদালত তা নামঞ্জুর করেছে। অপরদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আমাদের যে পিটিশনটি নামঞ্জুর করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে। তাই আমাদের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য সময় দেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আগামী ২৯ অক্টোবর সোমবার ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করে। আদালত বলে, এ মামলাটি আড়াই বছর ধরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিশেষ মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের কোন বিধান নেই। হাইকোর্ট বলেছে আমাকে মামলাটির বিচাকার্য পরিচালনা করতে। মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হলো। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। দুদকের করা আরেক মামলা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদ- দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অন্য মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে,নাইকো দুর্নীতি মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা,বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা, নাশকতার বিভিন্ন অভিযোগে দারুস সালাম থানায় ১১ মামলা। এছাড়া হত্যা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানায় ৪ মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা, গুলশানে বোমা হামলার অভিযোগে মামলা, খুলনায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা, হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার অভিযোগে কুমিল্লায় ৩ মামলা, ‘মিথ্যা’ জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগে মামলা, বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতির অভিযোগের মামলা,সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে ‘মিথ্যা’ মন্তব্য করায় ঢাকায় মানহানির দুই মামলা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে মামলা, নড়াইলে মানহানির এক মামলা, ৪২জনকে হত্যার অভিযোগে মামলা, হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে পঞ্চগড়ে মামলা, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সমালোচনা ও মানহানির অভিযোগে মামলা।
×