ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আরও দুই দল যোগ দিল যুক্তফ্রন্টে

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৯ অক্টোবর ২০১৮

আরও দুই দল যোগ দিল যুক্তফ্রন্টে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির অন্যমত প্রতিষ্ঠাতা বি চৌধুরীর বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টে যোগ দিল আরও দুটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এ নিয়ে নতুন নির্বাচনী মোর্চা যুক্তফ্রন্টের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ালো ৫-এ। এর সঙ্গে রয়েছে কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। যারা ইতোমধ্যে বিএনপির সঙ্গে মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এই সরকারের মতো নির্যাতন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদও করেনি। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সোনার বাংলা পার্টি ও জনদলের যুক্তফ্রন্টে যোগদান উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মান্না বলেন, ‘মানুষ আজ আন্দোলন করতে গেলেই সরকার নির্যাতন করছে। অন্যায়ভাবে মানুষের নামে মামলা দিচ্ছে ও হয়রানি করছে। দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। এই সরকারের মতো নির্যাতন এরশাদও করেনি। সারা দেশে আজ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে উঠেছে দাবি করে মান্না বলেন, ‘সারা দেশে আজ সরকারবিরোধী ঐক্য গড়ে উঠেছে। এই ঐক্য ভোটের ঐক্য। মানুষ আমাদেরকে বলে আমরা কি ভোট দিতে পারব? ভোটের নামে দেশে আর ছলচাতুরী করতে দেয়া হবে না। এসব ছলচাতুরী বন্ধ করতে হবে। আমরা ঐক্যের মাধ্যমে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। গণতন্ত্র মানে শুধু স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার নয়, গণতন্ত্র মানে আপনার স্বাধীন জীবন-যাপনের অধিকার। অথচ স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও আজ দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র আসেনি। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মান্না বলেন, পত্রিকায় দেখলাম প্রধান নির্বাচন কমিশন বলেছেন ডিসেম্বরে নির্বাচন এই রকম কথা বলেননি। আগে কী বলেছেন তিনি ভুলে গেছেন। তিনি মাঝে একবার বলেছিলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। গত কয়েক বছর ধরে সরকার অবৈধ কীর্তিকলাপ চালাচ্ছে। প্রকারান্তরে সরকারকে নির্বাচন কমিশনই সেসব বিষয়ে সহযোগিতা করছে।’ বাংলাদেশে কেউ একাধারে এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি এমন দাবি করে মান্না বলেন, আমরা যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য পাঁচ দফা দাবি দিয়েছি। পরে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার পক্ষ থেকে সেই দাবি দেয়া হয়েছে। এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে একই দাবি দেয়া হয়েছিল। সাধারণ মানুষ-সাংবাদিকরা আমাদের কাছে জিজ্ঞাসা করে, এই সরকার তো দাবি মানবে না, শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়বে না, তাহলে আপনারা কী করবেন? আমি বলি, ক্ষমতায় কেউ চিরস্থায়ী থাকে না। বাংলাদেশে কেউ একাধারে এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। পাকিস্তানের আইয়ুব খান ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু ক্ষমতার একদশক পালনের কিছুদিন পরেই তার পতন ঘটে। এখন আমাদের সরকার একইভাবে সারাদেশে উন্নয়নের মেলা করছে, তারাও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, গতকাল রবিবার আপনারা দেখেছেন যুক্তফ্রন্ট, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা এখন থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচী ঘোষণা করব।
×