ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

দুদিনের মধ্যেই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৮ অক্টোবর ২০১৮

  দুদিনের মধ্যেই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনুষ্ঠিত হওয়ার মাত্র দু’দিনের মধ্যেই সরকারী ও বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার ফল রবিবার প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। মেধাতালিকার ভিত্তিতে সরকারী ৩৬টি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছে চার হাজার ৬৮জন পরীক্ষার্থী। ৫শ’ জন রয়েছে অপেক্ষমাণ তালিকায়। চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারী ৬৫ হাজার ৯১৯ জনের মধ্যে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ২৬ জন। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৮৭ ও সর্বনিম্ন ৫৭। সরকারী কলেজগুলোর ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মেধাতালিকার ভিত্তিতে বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, পরীক্ষায় সরকারী ৩৬ কলেজে ৪ হাজার ৬৮ ও বেসরকারী ৬৯ কলেজে ৬ হাজার ২৩২টি আসনসহ মোট ১০ হাজার ৩০০ আসনের বিপরীতে ৬৫ হাজার ৯১৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। রাজধানী ঢাকায় ৪টি সরকারী মেডিক্যাল ও ১টি ডেন্টালসহ মোট ৫ কলেজের ৯ ভেন্যুতে মোট ৩৪ হাজার ৭৪০ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ রবিবার বিকেলে জনকণ্ঠকে জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর। মাত্র দু’দিনের মধ্যে ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষা ও ফল নিয়ে কোন ধরনের অভিযোগ উঠেনি। স্বল্প সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে পেরে আমরাও অত্যন্ত খুশি বলে জানান মহাপরিচালক। তিনি আরও জানান, সুষ্ঠু ও সৃশৃঙ্খল পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন সুযোগ নেই। প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে শুরু করে পরীক্ষা সেন্টারসমূহে পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছা পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে শক্তিশালী নিরাপত্তা বলয় থাকে। কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ছাড়াও বিভিন্ন স্তরে বেশ কয়েকটি কমিটির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। প্রশ্নপত্র তৈরির কাজে পাঁচজন প্রখ্যাত শিক্ষক থাকেন, যাদের পরিচয় বাইরের কেউ জানতে পারেন না। তারা পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না। আর সেখানে কর্মরত ৪ থেকে ৫ জন কর্মচারীকেও একই পরিবেশে থাকতে হয়। তারা যেখানে থাকেন, কাজ করেন, সেই কক্ষটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকে। এমন পরিবেশ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কথা ভাবাই যায় না বলে জানান মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ। উল্লেখ্য, আগামী ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে ১৯টি কেন্দ্রের ২৭টি ভেন্যুর ৮১৪ টি কক্ষে ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে এ ভর্তি পরীক্ষা হয়।
×