ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৪শ’ ছাড়াল

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৫ অক্টোবর ২০১৮

ইন্দোনেশিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৪শ’ ছাড়াল

ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিওর সুলাওয়েসি দ্বীপ এলাকায় গত শুক্রবারের ভূমিকম্প ও সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক হাজার চার শ’ ছাড়িয়ে গেছে। সময় যত যাচ্ছে এ সংখ্যা ততই বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। খাবারের জন্য বেপরোয়া লোকজন দোকানপাটে লুটতরাজ শুরু করেছে। এএফপি। পালু শহরে সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং ভূমিকম্পের পর সুনামির ফলে সৃষ্ট ২০ ফুট উঁচু ঢেউয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। ধ্বংসস্তূপের ভেতর এখনও অনেকে আটকে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ভারি যন্ত্রপাতির অভাবে দুর্যোগের পর উদ্ধার তৎপরতার তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না। পালু শহরের রোয়া রোয়া রিসোর্টের একটি হোটেলেই অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। শহরের জোনুজ গীর্জার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৮৬ শিশুর মধ্যে ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫২ জনের এখনও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের সময় রোয়া রোয়া হোটেলে ৫০ জন ছিলেন। এর মধ্যে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। নয়জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। অন্যদের বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় জানিয়েছে, পালুতে দুই লাখ মানুষের জরুরী সহায়তা প্রয়োজন। এর মধ্যে এক চতুর্থাংশ শিশু। ক্যাথলিক রিলিফ সার্ভিসের ইয়েননি সুরিয়ানি বলেন, আক্রান্ত এলাকাগুলোতে সাহায্য সংস্থাকে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পালুর প্রধান বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, স্থলপথের সড়কগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে আর সেখানে বিদ্যুত সংযোগ নেই বললেই চলে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, তারা জরুরী সহায়তা দিয়ে একটি এয়ারক্র্যাফট পাঠাচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, পালু শহরে যাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে, তারা প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ন্যূনতম খাবার জোগাড়ের চেষ্টায় ছিলেন। শহরের স্বাভাবিক সব সেবাব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সেখানে বিদ্যুত, খাবার ও পানি খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে।
×