রাজনীতি ও তারল্য সঙ্কট শেয়ারের বড় সমস্যা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতি ও তারল্য সঙ্কট এই মুহূর্তে শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের এক আলোচনায় উঠে এসেছে। এর মধ্যে তারল্য সঙ্কট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে। শেয়ারবাজারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সভায় বিএসইসির কমিশনার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী ও ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। দেখা গেছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ছিল ৫৫০৫ পয়েন্ট। যা ২৭ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৫৩৪৩ পয়েন্টে। অর্থাৎ এ সময় ৬ কার্যদিবসে ১৬২ পয়েন্ট কমেছে। আর ৮২৪ কোটি টাকার লেনদেন নেমে এসেছে ৫২৫ কোটি টাকায়। ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, শেয়ারবাজারের মন্দাবস্থা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এক্ষেত্রে আইসিবির ২ হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন ও কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে প্রাপ্ত অর্থে ক্যাপিটাল গেইন টেক্স সুবিধা পাওয়ার পরও শেয়ারবাজারের মন্দাবস্থায় বিএসইসি হতাশা প্রকাশ করেছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারের পতন হিসেবে তারল্য সঙ্কট ও রাজনৈতিক ইস্যুকে তুলে ধরা হয়েছে। কারণ যে যাই বলুক না কেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে তারল্য সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারণে। তারা শেয়ারবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমা দিয়ে সঙ্কট তৈরি করেছে। অথচ তা সমাধানের জন্য কাজ করছে না। এছাড়া অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু সুপারিশ করলেও ব্যাংকটি থেকে তা মানা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, শেয়ারের দর বাড়লেই ব্যাংকগুলোকে বিক্রয় করতে হয়। যা এক প্রকার ফোর্সড সেল। এমনিতেই ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ কম। এমতাবস্থায় বিষয়টি সমাধানের দরকার। এক্ষেত্রে যা করণীয় তাই করা হবে। বিএসইসি আমাদের পাশে থাকবে। সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণ পরিশোধের বিষয়টি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে প্রকাশকে কেন্দ্র করে সভায় অনেকে প্রশ্ন তুলেন বলে জানান মিনহাজ মান্নান। আগামীতে যাতে এমনটি না হয় সে লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক পরিচালক বলেন, ইভিন্স টেক্সটাইলের মুনাফা সত্ত্বেও কোম্পানিটির পর্ষদ লভ্যাংশ না দেয়ার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা নিয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএসইসিসহ সবাই ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছে।