ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ড. কামাল ও বি চৌধুরীর জোট আদর্শচ্যুত নেতাদের ঐক্য ॥ হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ড. কামাল ও বি চৌধুরীর জোট আদর্শচ্যুত নেতাদের ঐক্য ॥ হাছান মাহমুদ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ড. কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীদের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্যকে জাতীয় ঐক্য নয়, জনপরিত্যক্ত আদর্শচ্যুত নেতাদের ঐক্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটা জনগণের কোন ঐক্য নয়। এটা রাজনীতিতে পরিত্যক্ত নেতাদের ঐক্য ছাড়া অন্য কোন কিছু নয়। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় ঐক্যের নামে নির্বাচন নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ড. কামাল হোসেন জনবিচ্ছিন্ন, রাজনীতিতে পরিত্যক্ত। তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেন কিন্তু তাঁর নিজের দলেই কোন গণতন্ত্র নাই। গণফোরামের সম্মেলন কবে হয়েছে তাও তিনি বলতে পারবেন না। ১৮ বছর যাবত তিনি সম্মেলন ছাড়াই সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আর বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দলেরও কখন সম্মেলন হয়েছে তা হয়ত উনারই মনে নাই। প্রকৃতপক্ষে এই জোট হচ্ছে জনবিচ্ছিন্ন, ব্যক্তিসর্বস্ব, নামসর্বস্ব এবং রাজনীতিতে পরিত্যক্তদের একটি জোট। যাদের সঙ্গে জনগণের কোন সম্পৃক্ততা নাই। বিএনপি এখন নেতা ভাড়া করছে মন্তব্য করে ড. হাছান বলেন, আসলে এটি জাতীয় ঐক্য নয়। মুমূর্ষু বিএনপিকে রক্ষা করার জন্য তারা ড. কামাল হোসেন এবং বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ অনেক নেতাকে ভাড়া করেছে। সুতরাং বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে বোঝা যাচ্ছে বিএনপি এখন ভাড়াকৃত নেতাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। আর ড.কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীরা ভাড়ায় খাটবেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ভারত, ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বাংলাদেশেও নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই নানা ধরনের ঐক্য করে কোন লাভ হবে না। সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না। আর ২০১৪ সালের চেয়ে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে কোন লাভ হবে না। নিজেরাই পরে যাবেন। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোঃ আবু কায়সার, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়তুল ইসলাম স্বপন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।
×