ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর নির্দেশে স্বামীকে খুন করা হয়েছে

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর নির্দেশে স্বামীকে খুন করা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেবরের সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে স্ত্রী কাজল রেখার নির্দেশে মনিরুজ্জামান মনুকে (৩৫) খুন করা হয়েছে। শনিবার গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, দেবর-ভাবির পরকীয়ার পথে কাঁটা হওয়ায় মনুকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। নিহতের স্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে তার দেবর মিন্টু। এজন্য এক লাখ টাকায় তিন ভাড়াটে খুনীর মাধ্যমে মনিরকে হত্যা করায় তারই ছোট ভাই আজমল হক মিন্টু। ডিসি মোস্তাক আহমেদ জানান, শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে নিহতের স্ত্রী কাজল রেখা। এরপর এই হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে নিহত মনুর ছোট ভাই আজমল হক মিন্টু ও তিন ভাড়াটে খুনী আব্দুল মান্নান, সোহাগ ও ফাহিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুটি ছুরি ও মনুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ছয়দিন পর মনিরুজ্জামান মনু হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটিত হলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন সাঁতারকূল এলাকায় রাস্তার পাশে ছুরিকাঘাত করা একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঢামেকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেলে মিন্টুই তার ভাই মনুর লাশ শনাক্ত করে। ডিসি জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নিহতের স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের মধ্যে ৮-৯ বছর ধরে পরকীয়া ছিল। মনুকে সরানোর জন্য এই দু’জন দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে আসছিল। তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে মনুকে হত্যা করার জন্য এক লাখ টাকার বিনিময়ে তিনজনের সঙ্গে চুক্তি করে দেবর-ভাবি। খুনীদের অগ্রিম ৩০ হাজার টাকাও দেন তারা। এই তিনজনই মনুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। কেউ যাতে সন্দেহ করতে না পারে সে উদ্দেশে দেবর ও ভাবি বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ডিসি মোস্তাক আহমেদ জানান, মামলার তদন্তকালে বাড্ডা থানা পুলিশের সন্দেহের তালিকায় চলে আসেন দেবর ও ভাবি। একপর্যায়ে কাজল রেখাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে কাজল রেখাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এই খুনের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন। তিনি এবং তার দেবর আজমল মিলে কিভাবে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তা জানান। গ্রেফতারের পর শুক্রবার কাজল রেখার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে।
×