ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আসছে মিঠু রায়ের প্যারালাল পাঁচ চলচ্চিত্র

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 আসছে মিঠু রায়ের প্যারালাল পাঁচ চলচ্চিত্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের বর্তমান ফিল্মের মন্দার বাজারে যখন প্রযোজক খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন, সে সময় ‘ক্রিয়েটিভ আর্টস সিনেমাস মুভমেন্ট ২০১৮’-এর ব্যানারে তিন জনের একটি টিম সম্প্রতি প্যারালাল পাঁচ ফিল্ম নির্মাণ শেষ করলেন। টিমের তিন সদস্যরা হলেন বীরজান মহাগুরু নায়ক, মিঠু রায় এবং সাজু আহমেদ। তার মধ্যে মিঠু রায় পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে, বীরজান মহাগুরু“নায়ক ও চিত্রনাট্যকার ও ডিরেক্টর অব সিনেমাটোগ্রাফি হিসেবে এবং সাজু আহমেদ প্রযোজনা উপদেষ্টা ও প্রধান খল চরিত্রাভিনেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ‘ক্রিয়েটিভ আর্টস সিনেমাস মুভমেন্ট ২০১৮’ নামের অবিরত এই উদ্যোগ মিঠু রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘ক্রিয়েটিভ আর্টস সিনেমাস মুভমেন্ট ২০১৮’ টিমের লক্ষ্য ‘নো এ্যান্ড লো বাজেট ফিল্ম’। বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় সৃষ্টিশীল সুস্থ সুন্দর চলচ্চিত্রগুলো এই ধারায় তৈরি। বিভিন্ন দেশে এ আন্দোলন বিভিন্ন নামে পরিচিত। ফরাসীতে যেমন শুরু হয়েছিল ‘নিউওয়েভ ফিল্ম মুভমেন্ট’, তেমনি প্যারিসসহ সারাবিশ্বে শুরু হয়েছিল ‘আর্ট সিনেমাস থিয়েটার গ্রুপ’। পাশর্বর্তী দেশ ভারতে ‘প্যারালাল ফিল্ম মুভমেন্ট’, ‘ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি মুভমেন্ট’ নামে পরিচিত। এ আন্দোলন থেকে যেসব নির্মাতা তৈরি হয়েছে তারা পরবর্তীতে বিশ্ব মাতিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রাতঃস্মরণীয় নামগুলো হলো জাঁ লুক গদার, ভিক্টোরিয়া ডি. সিকা (বাইসাইকেল থিবস্), আকিরা কুরোসাওয়া, মিজুগুচি এবং আমাদের বাঙালীর গর্ব, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অন্যতম চিত্রনির্মাতা অস্কারপ্রাপ্ত সত্যজিৎ রায়। আরও আছেন মৃনাল সেন, ঋত্ত্বিক কুমার ঘটক, শ্যাম ব্যানেগাল, গোবিন্দ নিহালীনি, আদুর গোপাল কৃষ্ণনং, গৌতম ঘোষ, ঋতুপর্ণ ঘোষসহ আরও অনেকে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন যে দেশে প্যারালাল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিজ যত বেশি শক্তিশালী সে দেশের কমার্সিয়াল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তত বেশি সমৃদ্ধ ও ব্যবসা সফল হয়ে থাকে। সে অর্থে নতুন এই টিমের উদ্যোগ দেশীয় মৌলিক গল্পের সুস্থ সুন্দর ও উন্নতধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং নিজস্ব চলচ্চিত্রধারা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। জানা যায়, ‘ওয়ার্ল্ড নিউওয়েভ ফিল্ম মুভমেন্ট বা নবকল্লোল চলচ্চিত্র আন্দোলন’-এর মূল কাঠামো হলো ন্যাচারাল লাইটে ট্রলি, ডলি, ক্রেন, ট্রাইপড রিফ্লেক্টর বোর্ড বিবর্জিত, উইদাউট মেকাপ বা চরিত্রানুগ চরিত্রের ন্যাচারাল ফেসে শূটিং, নতুন মুখ খুঁজে বের করা, নবীন চিত্রনাট্যকারসহ চলচ্চিত্রের সব শাখায় টিম অধিকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নতুনদের চলচ্চিত্র উপযোগী হিসেবে তৈরি করাই এ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। সে লক্ষ্যেই মিঠু রায় তার প্যারালাল পাঁচ চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্প্রতি শেষ করেছেন। চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘নায়ক-নায়িকা’, ‘মানুষ ও অমানুষের গল্প’, ‘পথে হলো দেখা’, ‘অবগাহন’ এবং ‘লালমরিচ’। চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বীরজান মহাগুরু নায়ক এবং প্রধান খল চরিত্রে রূপদান করেছেন সাজু আহমেদ। তাদের সঙ্গে নবাগতা নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে সোনালী, শিরোমণি, রেখা, রূপা ও সীমা। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে নবাগত হিসেবে ছিলেন- সবুজ তালুকদার, ইমরান হোসেন, নিখিল রায়, মোহাম্মদ কালাম হোসেন, রাজু সিংহ, মনির, শিউলি আক্তার, বেবী, সুপ্রিতা, সুজাতা, অনু ও বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নির্মাতা মিঠু রায়।
×