ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারী অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে

প্রকাশিত: ০৭:১০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এসডিজি বাস্তবায়নে বেসরকারী অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের বাড়তি প্রায় ৯২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে। এজন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ্য বাস্তবায়নে বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বেসরকারী খাতের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির এবং দি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, দেশের বেসরকারী খাত জ্বালানি অপ্রাপ্যতা এবং এর উচ্চমূল্য, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, অপ্রতুল অবকাঠামো, ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় বৃদ্ধি, আইনগত দীর্ঘসূত্রতা এবং সর্বোপরি ঋণ প্রাপ্তির অপ্রতুলতা প্রভৃতি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি এসজিডির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী নীতিমালার সহযোগিতা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের বাড়তি প্রায় ৯২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমান সরকার বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় প্রায় ১ লাখ একরের ‘ভূমি ব্যাংক’ তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, যা বেজার নিকট হস্তান্তর করা হবে। তিনি জানান, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতোমধ্যে সরকার মন্ত্রণালয় ভিত্তিক কর্মপরিকল্পণা চিন্থিতকরণের পাশাপাশি তা যথাসময়ে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছে এবং এ লক্ষ্যে অর্থসংস্থান নিশ্চিতকরণের জন্য সরকার আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সরকার ও বেসরকারী খাতের অংশীদারিত্বমূলক অংশগ্রহণ একান্ত আবশ্যক। তিনি নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, শিক্ষা খাতের গুণগত ও আমূল সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরোধ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়টি একটি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করেন। দি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, এসডিজির সফল বাস্তবায়নের জন্য সরকার ও বেসরকারী খাতের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরী। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশীয় বাজার বেশ বড় এবং এ বাজার উন্নয়নে মনোযোগ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আমাদের আরও উদ্যোগী হতে হবে।
×