ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন

প্রকাশিত: ০৫:০০, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১ সেপ্টেম্বর ॥ বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানা বাসস্ট্যান্ডে বৃহস্পতিবার রাতে এক নারী (২৮) ধর্ষিত হয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে বাসের সহকারী নাজমুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানা বাসস্ট্যান্ডে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী বাস থেকে নামছিল। এ সময় বাসস্ট্যান্ডে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পরিবহনের চালক আলম মিয়া ও সহকারী (হেলপার) নাজমুল হোসেন ওই নারীকে ফুঁসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে বাস থেকে নামতে দেয়নি। এরপর বাসের হেলপার নাজমুল গেটে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয় এবং চালক ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর কান্নার আওয়াজ শুনে বাসস্ট্যান্ডের লোকজন থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে টহল পুলিশ বাসের ভেতর থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ বাসের হেলপার নাজমুলকে গ্রেফতার করতে পারলেও ধর্ষক চালক আলম মিয়া পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ ওই বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে বলে জানিয়েছেন ওসি। এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম বাদী হয়ে চালক আলম মিয়া ও সহকারী নাজমুল হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। চালক আলম মিয়া ধর্ষণ করেছে এবং সে এই ধর্ষণে সহায়তা করেছে বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে নাজমুল হোসেন। শুক্রবার বিকেলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। এদিকে শনিবার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ফরিদা ইয়াসমিন ডাক্তারি পরীক্ষা করেছেন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট এলেই ধর্ষণের বিষয়টি জানা যাবে। টাঙ্গাইল ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার বায়েজিদ বলেন, ধর্ষিত ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুড়িপুর গ্রামে তার বাড়ি বলে সে জানিয়েছে। আমরা তাকে সবরকম আইনী সহায়তা দেব। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, আদালতের নির্দেশ মতো মেয়েটিকে পূর্বাইল আশ্রয়ণ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। আইনগত সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। মেডিক্যাল রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা বের হবে।
×