ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

গানে কবিতায় জাতীয় কবিকে স্মরণ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৯ আগস্ট ২০১৮

গানে কবিতায় জাতীয় কবিকে স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ ‘এত জল ও কাজল চোখে আনলো বলে...’ গানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজনটি। এ্যাডভোকেট শাহিন মোঃ আমানুল্লাহ গভীর মমতায় গানটি করছিলেন। তার আগে গানটি ছিল, ‘ফুলের জলশায় নীরব কেন কবি...’। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪২তম মহাপ্রয়াণ দিবসটিতে কবিকে স্মরণ করা হয় সুরে-ছন্দে-আলোচনা ও কবিতায়। ‘পদ্মার ঢেউ রে, মোর শূন্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা রে, এই পদ্মে ছিল রে যার রাঙা পা/আমি হারায়েছি তারে//মোর পরাণ বধূ নাই/পদ্মে তাই মধু নাই নাইরে//বাতাস কাঁদে বাইরে/সে সুগন্ধ নাইরে/মোর রূপের সরসীতে আনন্দ মৌমাছি/নাহি ঝঙ্কারে//’ এছাড়া ‘নদীর একূল ভাঙ্গে ওকূল গড়ে/এই তো নদীর খেলা//সকাল বেলা আমীর যে ভাই/ফকির সন্ধ্যা বেলা//’- শিশির রহমানের কণ্ঠে জাতীয় কবির এই গান দর্শক-স্রোতার মন ছুঁয়ে যায়। মুন্সীগঞ্জ শহরের পুরাতন কাছারির জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে সোমবার সন্ধ্যার এই আয়োজনে মুন্সীগঞ্জের আরেক প্রিয় শিল্পী রুমা পাল অনেকদিন পরে মঞ্চে আসেন। ‘চৈতালি চাঁদনি রাতে...’ ও ‘হে পার্থ সারথি বাজাও বাজাও বাজাও...’ এই দু’টি চমৎকার গানে কবিকে স্মরণ করেন রুমা। শ^শুর পটুয়াখালী উদীচীর সভাপতি বিপুল দাস তার সঙ্গে তবলায় সঙ্গত করেন। এর আগে এ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান আবুল পরিবেশন করেন, ‘পরপর চৈতালি সাজে...’। খুদে শিল্পী হিরামনির কণ্ঠে ছিল, ‘এসো হে সজলও শ্যাম ঘন দিয়া...’। এর আগে অহৃত মীর ফাইরুজ জাওয়াতের কণ্ঠে, ‘শুকনো পাতার নূপুর পায়ে...’ হৃদয় ছোঁয়া গানে কবিকে স্মরণ করা হয়। ‘সে চলে গেছে বলে...’ সামিয়া ইসলাম অথৈর হৃদয় নাড়া দেয়া গানে আয়োজনটির শুরু হয়। এই আয়োজনে নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবীণ শিল্পী সৈয়দ মোতালেব। আর সব শেষে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেন হোসনেয়ারা আক্তার। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মতিউল ইসলাম হিরু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং সঙ্গীত পরিবেশন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এইচ এম রকিব হায়দার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য প্রদান করেন অন্বেষণ বিক্রমপুরের সভাপতি মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল।
×