স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে পৃথক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দারুস সালামে একটি ওয়ার্কশপে গাড়ির চাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে পাম্প করার সময় তা বিস্ফোরিত হয়ে এক তরুণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে এক কিশোর শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাদের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার ভোরের দিকে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের রাস্তার বেপরোয়া গতির মাইক্রোবাস রোড ডিভাইডারে উঠে যায়। এ সময় সেখানে সংস্কার কাজ করার সময় শফিকুল ইসলাম (৪০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে তার সহকর্মী ইসমাইল হোসেন (৪০) গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত শফিকুলের গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার তারাকান্দি গ্রামে। সে মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত ইসমাইল হোসেন একই গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। তেজগাঁও থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ আলী জানান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় রাতে রোড ডিভাইডার সংস্কারের কাজ করছিল শ্রমিকরা। শনিবার ভোর ৪টার দিকে একটি দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাস ওই রোড ডিভাইডার শ্রমিকদের ওপর তুলে দেয়। এতে শফিকুল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেন নামে দুই শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসআই মোঃ আলী জানান, আহত ইসমাইলকে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর মাইক্রোবাসটিকে আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে এসআই মোঃ আলী জানান।
এদিকে একইদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর মিরপুর দিয়াবাড়ি বেড়িবাঁধ এলাকায় বাসের ধাক্কায় রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (৩৫) নামে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের চাচা রফিকুল ইসলাম জানান, মৃত রাশেদ পিকআপ চালক ছিলেন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দিয়াবাড়ি বেড়িবাঁধ বস্তি সংলগ্ন রাস্তা পার হচ্ছিল ভাতিজা রাশেদ। এ সময় আলিফ পরিবহনের একটি বাস তাকে ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সোয়া ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে শনিবার দুপুরে রাজধানীর দারুস সালামে গাড়ির চাকা বিস্ফোরণে লোকমান আহম্মদ (২৫) নামে এক মিস্ত্রি মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মোঃ রমিজ (১৭) আরেক মিস্ত্রি গুরুতর আহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, দারুস সালাম টাওয়ারের সামনে ঢাকা স্ট্যান্ডার্ড এ্যান্ড ব্যাটারি দোকানে তারা কাজ করতেন। দোকান মালিক কামরুজ্জামান জামাল জানান, শনিবার সকালে গাড়ির চাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে পাম্প দেয়ার সময় সেটির বিস্ফোরণ হয়। এতে তার ওয়ার্কশপের ওই দুই শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আনা হয়।
সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে লোকমানকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার লোকমানের মৃত্যু হয়। রমিজ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঢামেক হাপসাতালে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, বিকেলে ঢামেক মর্গে তিনজনের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।