ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইয়ে কোরবানির হাটে এবার চাহিদার বেশি পশু

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ৮ আগস্ট ২০১৮

চাঁপাইয়ে কোরবানির হাটে এবার চাহিদার বেশি পশু

ডি.এম তালেবুন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ কোরবানির আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। বাংলাদেশে কোরবানি পশু প্রতি বছর ঠেলে দেয় এক শ্রেণীর ভারতীয় চোরাকারবারি। কিন্তু এবার নানান কারণে পিছুটান দিয়েছে ভারতীয় পশু চোরাকারবারিরা। তারা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পশু এনে সীমান্তে জড়ো করত অন্যান্য বছর। কিন্তু এবার তাদের দেখা যাচ্ছে না। বাজারে এবার পর্যাপ্ত দেশী গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া দেখা যাচ্ছে। পবিত্র ঈদল-উল-আজহা উপলক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ একটি জরিপ চালিয়ে যে তথ্য পেশ করেছে তা আশাপ্রদ। জেলা পর্যায়ে এবার গাভী/বকনা, ষাঁড়, বলদ, মহিষ প্রয়োজন হবে ৫৫ হাজারের মতো। একই সঙ্গে ছাগল ও ভেড়ার প্রয়োজন হবে ৮৫৭৭। সব মিলিয়ে জেলায় ১ লাখ ৬০ হাজার ৬১৩টি পশুর প্রয়োজন পড়বে। এবার জেলায় গরুর খামার রয়েছে ১৭২টি, ছাগলের খামার ৯৬টি ও ভেড়ার খামার ১৫০টি। তিন শ্রেণীর পশু মিলিয়ে মোট সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়েও প্রায় ৪০ হাজার উদ্বৃত্ত পশু থাকবে। এইসব পশু স্থানীয় বাজারে নামার কথা। ঈদের পূর্ব মুহূর্তে খামারিরা তাদের পশু নিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে নামবে। যার কারণে এবার জেলার পাঁচ উপজেলায় দেশী গরু, ছাগলে ভর্তি থাকবে। পশুপালন কর্মকর্তা জানান, কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে পশুর উৎপাদন বাড়ায় গরু, ছাগল, ভোড়া বা মহিষ বৈধ অবৈধ পথে আমদানির প্রয়োজন হচ্ছে না। এখন সারাবছর মাংসের চাহিদা পূরণ হচ্ছে দেশী পশু দিয়ে। গত বছর জেলায় যে পরিমাণ পশুর প্রয়োজন ছিল, এবার চাহিদা পূরণ করেও ৪০ হাজার পশু বেশি রয়েছে। সুখবর বয়ে এনেছে যারা দেশী পশু দিয়ে কোরবানি করবে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর চাঁপাইনবাবগঞ্জ বলছে, নানান প্রস্তুতি নিয়েছে তারা কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে। জেলাজুড়ে এবার কোন ধরনের সঙ্কট নেই। তবে স্থানীয় কৃষকদের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কোন হাট বাজারে এবার কোরবানির পশুর অতিরিক্ত দাম নেই। অনেক খামারি কম দামেও পশু ছাড়ছে। কয়েক বছর ধরে অব্যাহতভাবে নানান ধরনের পশুর উৎপাদন বাড়ায় অর্থনীতিতে ইতিবাচক পথের সন্ধান মিলেছে। খামারিদের বিভিন্ন ব্যাংক সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা দেয়ায় পশুর উৎপাদন বেড়েছে।
×