ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৭ আগস্ট ২০১৮

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১

ইন্দোনেশিয়ার লম্বোক দ্বীপে এক সপ্তাহের মাথায় দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। রবিবার সাত মাত্রার এ ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে বহু বাড়িঘর, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুত ব্যবস্থা। কম্পন অনুভূত হয়েছে কাছের বালি দ্বীপেও। জরুরী উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতর জানিয়েছে, ভূমিকম্পে শত শত লোক আহত হয়েছেন। ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে হাজার হাজার ইমারত ভেঙ্গে পড়েছে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, রবিবার রাতে ভূকম্পন শুরু হলে পার্শ্ববর্তী দ্বীপের লোকজন আতঙ্কে বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দ্বীপের উত্তর উপকূলে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও দুই ঘণ্টা পর তা তুলে নেয়া হয়। নয়নাভিরাম সৈকত ও হাইকিং ট্রেইলের জন্য লম্বোক পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মাত্র এক সপ্তাহ আগে দ্বীপটিতে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৬ জনের প্রাণহানি হয়। এবারের ভূমিকম্পে দ্বীপের প্রধান শহর মাতরমের ভবনগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর লম্বোক ও বালির রাস্তায় রাস্তায় ভেঙ্গে পড়া বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে সাধারণ মানুষকে কাজে নামতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ইমান বলেন, ভূমিকম্পে পুরো শহর কেঁপে উঠলে সবাই আতঙ্কে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। মাতরমের সিটি হাসপাতাল আর বালির ডেনপাসার হাসপাতাল থেকে রোগীদেরও বের করে আনা হয়। তাদের রাস্তায় রেখে চিকিৎসা দিতে দেখা যায় চিকিৎসকদের। বালি দ্বীপে কয়েক সেকেন্ড কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর লম্বোক ও বালি বিমানবন্দরের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে। সামান্য কিছু ক্ষতি হলেও বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে শানমুগাম এক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে ওই সময় লম্বোক দ্বীপেই ছিলেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, হোটেল রুম এমনভাবে কাঁপছিল যে দাঁড়িয়ে থাকাই কঠিন হয়ে গিয়েছিল। রিং অব ফায়ারের মধ্যে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত দেখা যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে থাকা সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর অর্ধেকেরও বেশি প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বিস্তৃত ওই রিং অব ফায়ারের মধ্যে অবস্থিত।
×