ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে মাকে জবাই

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ২ আগস্ট ২০১৮

কিশোরগঞ্জে মাকে জবাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১ আগস্ট ॥ বাজিতপুরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মা রেহেনা আক্তারকে (৬৫) রশি দিয়ে বেঁধে বটি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে বর্বর ছেলে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ঘাতক সাদ্দাম হোসেনকে (২৬) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বুধবার সকালে উপজেলার গাজীরচর সাদিরচর গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার সাদিরচর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী নূরুল ইসলাম ও নিহত রেহেনা আক্তারের দুই ছেলে সন্তানের মধ্যে ঘাতক সাদ্দাম হোসেন ছোট। সে কুমিল্লায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হয়েও মাদকের নেশায় কোর্স সম্পন্ন করতে পারেনি। বুধবার সকাল ১০টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মা রেহেনা আক্তারের সঙ্গে ছেলে সাদ্দাম হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এতে সাদ্দাম ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে মাকে রশি দিয়ে বেঁধে ঘরে থাকা বটি দা মায়ের গলাই চালিয়ে দেয়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মায়ের জবাই করা লাশ বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় বড়খাল এলাকায় এলাকাবাসী ঘেরাও দিয়ে ঘাতক সাদ্দামকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘাতককে আটক করে। ফরিদপুরে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতী ইউনিয়নের ফুলসুতি গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে চায়না বেগম (২৬) নামের ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের ভাই নান্নু মাতুব্বর বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। চায়না বেগম উপজেলার ফুলসুতি গ্রামের সোহাগ মোল্লার (৩১) স্ত্রী এবং পাশের লস্করদিয়া ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের জালাল মাতুব্বরের মেয়ে। চায়না বেগমের ভাই নান্নু মাতুব্বর অভিযোগ করেন, মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় চায়না বেগমকে মাদকাসক্ত স্বামী সোহাগ শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ফুলসুতি গ্রামের মাজেদ মোল্লার ছেলে সোহাগ মোল্লার সঙ্গে পাশের লস্করপুর গ্রামের জালাল মাতুব্বরের মেয়ে চায়না বেগমের প্রায় ৬ বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ৪ বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর সময় চায়না বেগম ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত থাকায় বিয়ের পর থেকেই মাঝে মধ্যেই নেশার টাকা চেয়ে স্ত্রীকে মারপিট করত। মাদকাসক্ত স্বামী সোহাগকে মাদক সেবনে বাধা দিলেও স্ত্রী চায়নাকে মারপিট করত। এদিকে সালথার বল্লভদী ইউনিয়নের চ-িবর্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহ আলম মোল্লার (৩০) গলায় রশি দেয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। শাহ আলম মোল্লা শাহ-আলম সালথা উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নের চ-িবর্দী গ্রামের আব্দুর রব মোল্লার ছেলে। তিনি পাশের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা সদরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতে। বুধবার সকালে ওই ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে গলায় রশি বাঁধা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে মুকসুদপুর থানার পুলিশ। খাগড়াছড়িতে গৃহবধূ পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি থেকে জানান, মানিকছড়িতে এক গৃহবধূ রহস্যজনকভাবে খুন হয়েছে। স্বামী রক্তাক্তাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। স্বামী-স্ত্রীর এমন রহস্যজনক ঘটনার তথ্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। জানা গেছে, উপজেলার নামার তিনটহরী গ্রামের মোঃ মমতাজ উদ্দীনের ৫ ছেলে ও ১ মেয়ের সংসারে মেজ ছেলে বেলাল হোসেন (২৬) পিতার বাড়ির অদূরে পাহাড়ের চূড়ায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করত এবং মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালাত। তবে সম্প্রতি বেলাল হোসেন ইয়াবা সেবন ও পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। এ নিয়ে একাধিক বিচারও হয়েছে। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তাদের বাড়িতে চিৎকার শুনতে পেয়ে বেলালের পিতা মমতাজ ও ছোট ভাই সাগর হোসেন সেখানে ছুটে যায়। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন যে বেলাল হোসেন এবং তার স্ত্রী সালমা আক্তার রক্তাক্তাবস্থায় উঠানে পড়ে ছটফট করছে। পরে তারা আহত দু’জনকে উদ্ধার করে মানিকছড়ি হাসপাতালে এসে ভর্তি করান। চিকিৎসক চিকিৎসা শুরু করতে না করতেই স্ত্রী সালমা আক্তার মৃত্যুবরণ করেন। পরে আহত বেলাল হোসেনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসক ডাঃ মহিউদ্দীন জানান, নিহতের গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে বেলাল হোসেন অনেকটা আশঙ্কামুক্ত। মুন্সীগঞ্জে যুবক স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বয়স ২৫-৩০ হবে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বলই এলাকার রাস্তার পাশের একটি খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। কুমিল্লায় জখম ব্যবসায়ীর মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা কুমিল্লা ও দাউদকান্দি থেকে জানান, হোমনায় বাবলু নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে চাঁদার দাবিতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ১২ ঘণ্টা চিকিৎসার পর বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় মারা যায়। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার পৌরসভার মধ্যকান্দিতে গত ৩১ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে। নিহত বাবলু হোসেন (৩৭) হোমনা পৌরসভার মধ্যকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজ মোক্তারের ছেলে।
×