ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত দেশী জাতের গরু

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ২৮ জুলাই ২০১৮

  যশোরে কোরবানির  জন্য প্রস্তুত  দেশী  জাতের গরু

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কোরবানি ঈদ সামনে রেখে দেশী জাতের গরু পালনে ব্যস্ত সময় পার করছে যশোরের খামারিরা। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের অধিকাংশ খামারে দেশী ও সম্পূর্ণ নিরাপদ পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। এ বছরও ভারতীয় গরু আমদানি করা না হলেও কোরবানির বাজারে কোন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। যশোর প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, যশোরে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ৩০ হাজার পাঁচ শ’ গরু ও ২৭ হাজার ছাগলের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে খামারগুলোতে প্রায় ৪০ হাজার গরু ও ৩০ হাজার ছাগল পালনসহ ও সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যে কারণে এ বছরও কোরবানি ঈদে পশুর সঙ্কট হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় নয় হাজার ছোট-বড় খামার গড়ে উঠেছে। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব খামারে পালন করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের গরু ও ছাগল। গ্রামের বেকার যুবকদের পাশাপাশি অনেক নারীও নিজ বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছেন গরু ও ছাগলের খামার। আর মাত্র দেড় মাস পরই মোটাতাজাকরণের পর তা কোরবানির বাজারে তোলা হবে। শহরতলির চাঁচড়া এলাকার খামারি মাহমুদুল হাসান জানান, কোরবানি উপলক্ষে আমার খামারে গরু ও উন্নত জাতের ছাগল পালন করছি। এসব গরু ও ছাগল নিবিড় পরিচর্যা করছি। আর কয়েক মাস পরই তা বাজারে তোলা হবে। ইতোমধ্যে অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কোরবানি উপলক্ষে ছাগল কেনার জন্য। গরু ব্যবসায়ী আমজাদ ফকির বলেন, প্রতিবছর কোরবানি উপলক্ষে ভারতীয় গরু আমদানি কমিয়ে দিয়ে চাহিদা সৃষ্টি করা হয়। এ সুযোগে আমাদের দেশের খামারিরা যখন গরু পালন ও তা বাজারে তুলতে থাকেন তখন একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী চোরাইপথে ভারত থেকে গরু এনে বাজারে তোলেন। এতে কোরবানির আগমুহূর্তে বাজার ফের ভারতীয় গরুর দখলে চলে যায়। এ বছর যেন এ ধরনের কর্মকান্ড না হয় সে জন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে। সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তপনেশ্বর রায় বলেন, সদর উপজেলায় ১১ হাজার গরু ও প্রায় পাঁচ হাজার ছাগল রয়েছে। কোরবানির সময় জেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলায় পাঠানো যাবে। ভারত থেকে কোন পশু না আসায় খামারিরা পশু পালনে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
×