ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামী, তৃতীয় স্ত্রী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে চার্জশীট

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১৭ জুলাই ২০১৮

  স্বামী, তৃতীয় স্ত্রী ও শ্যালকের  বিরুদ্ধে চার্জশীট

কোর্ট রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কাকরাইলে গতবছর মা ও ছেলে হত্যা মামলায় স্বামী, তৃতীয় স্ত্রী এবং তৃতীয় স্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে রমনা থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার ইন্সপেক্টর মোঃ আলী হোসেন সোমবার ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশীট দাখিল করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশিদ আলমের আদালতে চার্জশীট উপস্থাপিত হওয়ার পর বাদীর আইনজীবী নারাজির আবেদন করেছিলেন। বিচারক আগামী ৮ আগস্ট নারাজি দাখিল ও শুনানির দিন ধার্য করেছেন। চার্জশীটভুক্ত আসামিরা হলেন, নিহত গৃহবধূর স্বামী আব্দুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা ও মুক্তার ভাই আল আমিন ওরফে জনি। চার্জশীটে হত্যার কারণ হিসেবে বলা হয়, আসামি আব্দুল করিমের ২৮ বছরের সংসার ছিল। স্ত্রী শামসুন্নাহারের গর্ভের সন্তান নিহত শাওন ‘ও’ লেভেলে পড়ালোখা করত। এরপরও তিনি একে একে আরও দুটি বিয়ে করেন। তৃতীয় বিয়ে করার পর করিম প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ খবর নিতেন না এবং মাঝে মধ্যে বাসায় এসে স্ত্রীকে মারধর করতেন। একদিন স্ত্রী-সন্তানের হাতে মারধরের শিকার হলে করিম তাদের শামসুন্নাহারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১ নবেম্বর জনি নিউমার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটের ১০০ নম্বর দোকান থেকে এগার শ’ টাকা দিয়ে ছোরা কিনেন। ওইদিনই সন্ধ্যায় ৭৯/১, ভিআইপি রোড কাকরাইলের ৫ম তলার বাসায় ঢুকে গৃহকর্মী রাশিদাকে রান্না ঘরে বন্দী করে রেখে প্রথমে শাওনকে বুকে ছুরি চালিয়ে এবং পরে শামসুন্নাহারের পেটে মুখেসহ বিভিন্ন স্থানে ছুরি চালিয়ে হত্যা করেন। শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যা মামলায় করিম, তার তৃতীয় স্ত্রী শারমীন আক্তার মুক্তা এবং শ্যালক আল আমিন ওরফে জনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। মুক্তা ও জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছেন। ‘গণমাধ্যম সাহসী ভূমিকা রাখতে না পারলে গণতন্ত্র বিকশিত হয় না’ স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, বিচারহীনতা এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে সুষ্ঠু ও সাহসী সাংবাদিকতা করা যায় না। গণমাধ্যম সাহসী ভূমিকা রাখতে না পারলে গণতন্ত্রও বিকশিত হয় না। সাংবাদিক হত্যাকা-ের বিচার না হলে সাংবাদিকরা সাহসের সঙ্গে কলম ধরতে পারবে না, জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে লিখতে পারবে না, গণমাধ্যমও বিকশিত হবে না। যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের (জেইউজে) উদ্যোগে সাহসী সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের ১৮তম হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল হত্যাকা-সহ দেশের বিভিন্নস্থানে সংঘটিত দুই ডজন সাংবাদিক হত্যাকা-ের বিচার নিয়ে সাংবাদিক সমাজের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশা আছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন না তখনও মুক্ত গণমাধ্যমের দাবিতে, সাংবাদিকদের অধিকারের প্রশ্নে তিনি সংগ্রাম করেছেন। ক্ষমতায় এসে সাংবাদিকদের কল্যাণে তিনি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। সাংবাদিক শামছুর রহমান হত্যাকা-সহ সকল সাংবাদিক হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার এবং হত্যাকা-ে জড়িতরা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানাব। স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত মহাসচিব শাবান মাহমুদ ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নির্বাহী সদস্য পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. আব্দুল মাবুদ। সভায় শাবান মাহমুদ বলেন, সাধারণ মানুষ খুন হলে বিচার হয়, যে কোন পেশাজীবী মানুষ খুন হলে তার বিচার হয়, সাংবাদিক খুন হলে বিচার হয় না। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এই সরকারকে নিঃশর্তভাবে সমর্থন করি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, আমাদের একজন সহকর্মী খুন হবে, আর যুগের পর যুগ তার বিচার পাব না। শাবান মাহমুদ বলেন, বিএফইউজের নবনির্বাচিত কমিটি জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে যেমন লড়াই করবে, নবম ওয়েজবোর্ডের দাবিতে আন্দোলন করবে তেমনি সাহসী সাংবাদিক শামছুর রহমানসহ সকল সাংবাদিক হত্যাকা-ের বিচার দাবিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তুলবে। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সাজেদ রহমান। বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহসভাপতি মনোতোষ বসু, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন প্রমুখ। এর আগে নেতৃবৃন্দ শহীদ সাংবাদিক শামছুর রহমানের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে ফাতেহা পাঠ করেন। পরে যশোর প্রেসক্লাব আয়োজিত দোয়া মাহফিলেও
×