ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেক্সিট মন্ত্রীর পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রীরও পদত্যাগ

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১০ জুলাই ২০১৮

ব্রেক্সিট মন্ত্রীর পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রীরও পদত্যাগ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের সঙ্গে মতদ্বৈধতার কারণে পদত্যাগ করেছেন ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। প্রধানমন্ত্রী মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ার দুই দিনের মাথায় ডেভিস পদত্যাগ করলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দর কষাকষির দায়িত্ব দিয়ে ডেভিড ডেভিসকে ২০১৬ সালে মন্ত্রিসভায় আনেন টেরেসা মে। এদিকে ব্রেক্সিট কৌশল নিয়ে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনও সোমবার পদত্যাগ করেছেন। ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিসের পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বরিস জনসন পদত্যাগ করেন। এতে ব্রেক্সিট ইস্যুতে টেরেসা মের রাজনৈতিক সঙ্কট আরও ঘনীভূত হল। খবর বিবিসি/ইয়াহু নিউজের। এদিকে বিবিসি রবিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডেভিসের পদত্যাগের পর তার দফতরের উপমন্ত্রী স্টিভেন বেকারও পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে, গার্ডিয়ান লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী মে তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে সোমবার পার্লামেন্টের মুখোমুখি হওয়ার আগে ডেভিসের এই পদত্যাগ সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা। পদত্যাগপত্রে ডেভিস লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী মে যে নীতি আর কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন তাতে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে পারবে বলে তার মনে হচ্ছে না। জবাবে টেরেসা মে লিখেছেন, শুক্রবার মন্ত্রিসভার সম্মতি পাওয়া প্রস্তাবকে যে ভাষায় ডেভিস বর্ণনা করেছেন, তার সঙ্গে তিনি একমত নন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডেভিস সরে যাওয়ায় তিনি দুঃখ পেয়েছেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে দায়িত্ব তিনি এতদিন পালন করেছেন, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। ব্রিটিশ রক্ষণশীল দলের এমপি পিটার বোন পদত্যাগের সিদ্ধান্তের জন্য ডেভিসকে বাহবা দিয়ে বলেছেন, নীতি বাঁচাতে এটা তার সাহসী পদক্ষেপ। বোনের ভাষায়, ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মের প্রস্তাব কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যদিকে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ইয়ান লেভরি বলেছেন, সরকারে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, ডেভিসের পদত্যাগের পর টেরেসা মের হাতে কোন কর্তৃত্বই আর থাকতে পারে না। আর লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সামর্থ্য টেরেসা মের নেই। ২০১৬ সালের গণভোটে যুক্তরাজ্যের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। এই বিচ্ছেদকেই বলা হচ্ছে ব্রেক্সিট, যা ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে শেষ করতে দুই পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলছে।
×