ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করায় ৩ পরিবারকে ঘয়রানি

প্রকাশিত: ০২:৫২, ৭ জুলাই ২০১৮

  জমি বিক্রি করতে অস্বীকার  করায় ৩ পরিবারকে  ঘয়রানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ৬ জুলাই ॥ গ্রীন সিটি নামে একটি হোল্ডিং কোম্পানির কাছে জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করায় মির্জাপুরে তিনটি পরিবারকে সন্ত্রাসী ও থানা পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার ওই তিন পরিবারের সদস্যরা মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন। তিন পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম। ভুক্তভোগী অন্য দুই পরিবার হলো উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের রাজাবাড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদ ও লুৎফর রহমান। জানা গেছে, রাজাবাড়ী মৌজার ১৪৮৮, ১৪৮৯ ও ১৫৯৯ দাগে ৪৯ শতাংশ জমি পৈত্রিকসূত্রে মালিক হয়ে পাকাবাড়ি নির্মাণ করে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। পার্শ্ববর্তী গ্রীন সিটি কর্তৃপক্ষের নজর পড়ে ওই বাড়ির ওপর। এজন্য তারা একাধিকবার ওই বাড়ি তিনটি কেনার জন্য দালালের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু এতে তারা রাজি না হওয়ায় গ্রীন সিটি কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্থানীয় অওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ খান সন্ত্রাসী ও পুলিশ দিয়ে ওই তিন পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলে লিখিত বক্তব্যে জানান নজরুল ইসলাম। এছাড়া দালাল চক্র ও সন্ত্রাসীরা পরিবারগুলোর পানির লাইন ও বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন। সন্ত্রাসী ও পুলিশের ভয়ে এখন তারা বাড়িছাড়া বলে তারা জানান। আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ খানের সঙ্গে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগকারীদের মধ্যে জমির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে শরিকদের মধ্যে ঝামেলা রয়েছে। এখানে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি জানান। গ্রীন সিটি হোল্ডিং কোম্পানির মালিক ফিরোজ আলম বলেন, ওই জমি আমাদের ক্রয় করা সম্পত্তি। আমাদের জমিতে কিছু টিনের ঘর আছে। আইনীভাবে পুলিশ তা উচ্ছেদ করবে। আমরা কাউকে উচ্ছেদ করছি না এবং কাউকে হয়রানিও করছি না বলে তিনি জানান। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুল হক বলেন, গ্রীন সিটি কর্তৃপক্ষ এবং জমির মালিক নজরুল ইসলাম ও তাদের আত্মীয়দের মধ্যে অনেক আগে বিরোধ ছিল। সে বিরোধ মিটে গেলেও জমিওয়ালাদের নিজের মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে কখনই হস্তক্ষেপ করেনি এবং কাউকে হয়রানিও করেনি বলে তিনি জানান।
×